স্মার্টফোনে ‘যৌনপছন্দ’ যায় চেনা!

কোন অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন তা থেকে কী আপনার যৌন বিষয়ক পছন্দ জানা যেতে পারে? গবেষণা বলছে ‘হ্যাঁ’।

মামুনুর রশীদ শিশিরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Oct 2015, 11:27 AM
Updated : 4 Oct 2015, 11:27 AM

পর্নোগ্রাফিক পোর্টাল পর্নহাব-এর করা এক জরিপ অনুযায়ী, অ্যান্ড্রয়েড আর আইওএস-এর মধ্যে লড়াই শুধু প্রযুক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং যৌনজীবনে ব্যবহারকারীদের পছন্দও এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত।

সাইটটি তাদের মোবাইলনির্ভর ব্যবহারকারীরা অনলাইনে কী ধরনের কনটেন্ট খোঁজেন তা জানার উদ্দেশ্যে এই জরিপটি করে। ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহারকারীরা কী চান তার মধ্যে রয়েছে রয়েছে পরিষ্কার পার্থক্য।

জরিপে দেখা গেছে, আইওএস প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীরা পর্নহাব সাইটে গড়ে ৮ মিনিট ৪০ সেকেন্ড সময় ব্যয় করেন এবং ৯.৮টি পেইজ দেখার পর সাইট ব্রাউজ করা বন্ধ করে দেন। অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের তুলনায় আইওএস ব্যবহারকারীরা ‘বন্ডেজ’ এবং ‘ফেটিস’ ধরনের ভিডিও যথাক্রমে ১০৫ শতাংশ এবং ৬৬ শতাংশ বেশি দেখেন। অপরদিকে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ইবোনি এবং কার্টুন-ভিত্তিক ‘বড়দের’ কনটেন্ট উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি দেখেন।

অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্ম ব্যবহারকারীরা প্রতি ভিজিটে গড়ে ১০ মিনিট সময় ব্যয় করেন সাইটে এবং ১০.৯টি পেইজ দেখেন।

অ্যাপল ব্যবহারকারীরা কি দেখতে চান তা নিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের তুলনায় অনেকটা অনিশ্চিত, সার্চে ব্যবহার করেন ১-২টি কিওয়ার্ড। অপরদিকে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা নিজেদের চাহিদা সম্পর্কে বেশ নিশ্চিত, সার্চে ব্যবহার করেন ৩-৪টি কিওয়ার্ড।

মোবাইল থেকে পর্নহাব সাইটে ব্রাউজকারীদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ ব্যবহার করেন অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর ডিভাইস। আর আইওএসনির্ভর ডিভাইস ব্যবহারকারীর পরিমাণ ৪৬ শতাংশ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অষ্ট্রেলিয়ায় আইওএস ব্যবহারকারী বেশি। অপরদিকে ব্রাজিল, আর্জেটিনা এবং ভারতের মতো দেশগুলোতে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি।