এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ফিচারটির ব্যবহার শুরু হয় ২০১২ সাল থেকে, ওয়েবের মান তত্ত্বাবধায়নকারী ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কনসোর্টিয়াম (W3C) ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সাহায্যের লক্ষ্যে এপিআইনির্ভর ওই ফিচারটি নিয়ে আসে এবং ফিচারটি যাতে অনুমতি ছাড়াই ওয়েবসাইটগুলোকে ডিভাইসের ব্যাটারি চার্জ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে সাহায্য করতে পারে সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
কিন্তু সম্প্রতি চারজন ফরাসী ও বেলজিয়ান নিরাপত্তা গবেষক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, এপিআইনির্ভর ওই ফিচারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে অনলাইনে ট্র্যাক করা সম্ভব। এর জন্য প্রধানত দায়ী ফিচারটির কার্যপ্রক্রিয়া। এপিআই প্রতি ৩০ সেকেন্ড পরপর ওয়েবসাইটকে দুটি করে নাম্বার পাঠায়, যার একটি জানায় ব্যাটারি আর ঠিক কতক্ষণ পর সম্পূর্ণরূপে ডিসচার্জ হতে যাচ্ছে, আর অন্যটি ব্যাটারির ক্ষমতা শতকরা হারে প্রকাশ করে থাকে। নিরাপত্তা গবেষকরা জানিয়েছেন, এই দুটি নম্বরের উপর ভিত্তি করে প্রতি ৩০ সেকেন্ড পরপর ব্রাউজারের গতিবধি জানা সম্ভব, যা করা হলে সেটিকে ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি লংঘন বলা চলে।
বর্তমানে অপেরা, ফায়ারফক্স ও ক্রোম ব্রাউজার এই ফিচারটি সাপোর্ট করে বলেই জানিয়েছে গার্ডিয়ান।