প্রতিপক্ষের মাঠে রোববারের এই ম্যাচে ইয়াইয়া তুরের জোড়া গোলে ৪-২ ব্যবধানে জেতে সিটি।
সোয়ানসির লিবার্টি স্টেডিয়ামে ২১তম মিনিটে ইয়াইয়া তুরের গোলে এগিয়ে যায় সিটি। দাভিদ সিলভার বাড়ানো বল ধরে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন কোত দি ভোয়ার এই মিডফিল্ডার।
এগিয়ে যাওয়ার পর স্বাগতিক রক্ষণে আরও চাপ বাড়ায় সিটি। ১৫ মিনিট পর জেমস মিলনারের নৈপুণ্যে দ্বিতীয় গোলও পেয়ে যায় তারা।
পাল্টা আক্রমণে সের্হিও আগুয়েরো সোয়ানসির অর্ধে বল ধরে এগিয়ে যাওয়া মিলনারকে পাস দেন। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি বক্সের বাঁদিক দিয়ে ঢুকে এক জনকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষভেদ করেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার।
২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর সিটির আক্রমণের ধার কিছুটা কমে আসে। এরই সুযোগে অল্প সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকবার আক্রমণে ওঠে সোয়ানসি। বিরতির খানিক আগে ব্যবধানও কমায় তারা। ৪৫তম মিনিটে ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে নিচু শটে গোলটি করেন আইরিশ মিডফিল্ডার জিলফি সিগার্ডসন।
৬৪তম মিনিটে মাঝ মাঠের কাছ থেকে লম্বা পাস পেয়ে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে সমতা ফেরান সোয়ানসির ফরাসি স্ট্রাইকার বাফেতিম্বি গোমেস।
সমতায় থাকার আনন্দ অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেনি সোয়ানসির। ৭৪তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে সিটিকে ফের এগিয়ে দেন তুরে। ব্রাজিলের ফের্নানদিনিয়োর পাস পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে নিচু শটে বল জালে জড়ান ৩২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।
আর যোগ করা সময়ে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সিলভার পাস পেয়ে বল জালে জড়িয়ে বড় জয় নিশ্চিত করেন বদলি স্ট্রাইকার উইলফ্রেদ বনি।
এই জয়ে ৩৭ ম্যাচে ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান মজবুত করল সিটি। আগেই শিরোপা নিশ্চিত করা চেলসির পয়েন্ট ৩৬ ম্যাচে ৮৪।