দুদিন আগে বকেয়া বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে বাফুফেকে ‘মিথ্যাবাদী’ উল্লেখ করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেন ক্রুইফ। সেখানে তিনি আরো লেখেন, মিথ্যাবাদীদের সঙ্গে কাজ করতে চান না। পাওনা টাকার জন্য ফিফার কাছে নালিশও করেছেন বলে জানান ডাচ এই কোচ।
নেদারল্যান্ডসে বসে ক্রুইফের এমন আচরণ বাফুফে মেতে নিতে পারছে না। কোচের কথাবার্তাকে ‘ব্ল্যাকমেইলিং’ মনে হচ্ছে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের।
“বকেয়া বেতন ইস্যুতে ওরা যেভাবে ব্ল্যাকমেইল করে, এটা এখন আর ম্যানেজমেন্ট ভালোভাবে নিচ্ছে না।”
তবে জাতীয় দলের সামনের খেলাগুলোর কথা ভেবে ক্ষুব্ধ হলেও আপাতত নমনীয় বাফুফে।
সোহাগ বলেন, “সামনেই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচ আছে মামুনুলদের। আগামী ডিসেম্বরে জাপান আসবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা চলছে। এ কারণে কোচকে বিদায় করে দেয়ার পরিকল্পনা আপাতত ম্যানেজমেন্টের নেই।”
দুই বছরের প্রাথমিক চুক্তিতে বাংলাদেশে আসেন ক্রুইফ। তবে চুক্তিতে এক বছর পর রিভিউ এবং চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে উল্লেখ আছে। গত জুনে এক বছর পূরণ হয়েছে। কিন্তু রিভিউ কিংবা দ্বিতীয় বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানোর কথা বাফুফে আজো জানায়নি। ক্রুইফ ও তার সহকারী রেনে কোস্টার দায়িত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন।
এশিয়ান গেমসের পর দুই কোচ ছুটি নিয়ে নেদারল্যান্ডসে যান। ঈদের পর ক্যাম্প শুরুর আগে তাদের বাংলাদেশে ফেরার কথা ছিল; কিন্তু ক্রুইফ ও রেনে এখনো ফেরেননি।
বাফুফে জানিয়েছে, দুই কোচের টিকেট বুকিং দেয়া হয়েছে এবং তাদেরকে তা জানিয়েও দেয়া হয়েছে। দুজনে সাড়া দিলেই জানা যাবে ক্রুইফ ও কোস্টার কবে বাংলাদেশে আসবেন।
সোহাগ জানান, দুই কোচ দেশে ফিরলে বাফুফে তাদের সঙ্গে ‘বাকবিতণ্ডায়’ যাবে না কিন্তু নিজেদের অবস্থান ‘ভালোভাবে বুঝিয়ে’ দেবে।