সম্প্রতি শেষ হওয়া ব্রাজিল বিশ্বকাপে কোস্টা রিকার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র ম্যাচটাই জাতীয় দলের জার্সিতে শেষ ম্যাচ হয়ে থাকলো জেরার্ডের।
অবসরের ঘোষনা দিয়ে জেরার্ড বলেন, “আমার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার প্রত্যেকটা মিনিট আমি উপভোগ করেছি। এটা আমার কষ্টের একটা দিন।”
“(অবসরের) সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব কঠিন ছিল। এমন নয় যে, বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর থেকে অবসরের চিন্তা করছি, এটা নিয়ে আমি অনেক দিন ধরে ভাবছি”, যোগ করেন লিভারপুলের এই মিডফিল্ডার।
২০০০ সালে ইউক্রেনের বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতা ম্যাচে জেরার্ডের অভিষেক হয়। এরপর ধীরে ধীরে ইংলিশ ফুটবলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন। ২০০৮ সালে জন টেরির জায়গায় সাময়িকভাবে অধিনায়কের দায়িত্ব পান জেরার্ড। এরপর ২০১০ বিশ্বকাপে রিও ফার্ডিনান্ড চোট পাওয়ায় ফের অধিনায়ক হন অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডার। তারপর থেকে তার হাতেই ছিল দলনেতার ব্যান্ড।
ইংল্যান্ডের হয়ে ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে ১১৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ২১বার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠান জেরার্ড। তিনটি বিশ্বকাপসহ দেশের হয়ে মোট ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি।
জাতীয় দল ছাড়লেও ক্লাব ফুটবলে লিভারপুলের হয়ে খেলা চালিয়ে যাবেন ৩৪ বছর বয়সী জেরার্ড।