বার্সেলোনাকে লড়াইয়ে রাখলেন মেসি

লিওনেল মেসির দারুণ এক গোলে কোনোমতে আথলেতিক বিলবাওকে হারিয়েছে বার্সেলোনা। টানা তিনটি হারের পর ২-১ গোলের এই জয়ে লা লিগার শিরোপা লড়াইয়ে টিকে রইলো লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2014, 09:07 PM
Updated : 21 April 2014, 07:47 AM

৩৪ ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৮১। ৪ পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষে আছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৭৯।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে আতলেতিকোর বিপক্ষে ১-০ (দুই লেগ মিলে ২-১) গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়। তারপর লা লিগায় গ্রানাদার মাঠে ১-০ গোলের হার। সবশেষে গত বুধবার কোপা দেল রে’র ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ২-১ ব্যবধানের হার।

গত দুই সপ্তাহে ঐ তিন হারে রীতিমত বিধ্বস্ত বার্সেলোনার জন্য রোববারের ম্যাচটি ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। পিছিয়ে পড়েও মেসি ও প্রেদ্রোর গোলে ম্যাচটি জিতল জনপ্রিয় দলটি।

রোববার ঘরের মাঠ ক্যাম্প নউতে ১৫তম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বার্সেলোনা। কিন্তু লিওনেল মেসির বাড়ানো বল থেকে লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন স্ট্রাইকার পেদ্রো। পরক্ষণেই আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন মেসি নিজেই।

২৬তম মিনিটে দলকে এগিয়ে দেয়ার সুযোগ হারান বারত্রা। কর্নার থেকে বল পান তিনি কিন্তু ছয় গজ দূরে দাঁড়িয়ে বল জালে জড়াতে পারলেন না তিনি।

৩১তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল আথলেতিক বিলবাও। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে স্পেনের স্ট্রাইকার আদুরিস সুবেলদিয়ার শটটি ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। এর কিছুক্ষণ পরই সানচেজের শট বারে লেগে ফিরে আসলে হতাশ হয় স্বাগতিক দলও।

প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আরো কয়েকটি সুযোগ পায় দুই দলই কিন্তু গোলশূন্যভাবেই বিরতিতে যায় তারা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে পুরো ক্যাম্প নউকে স্তব্ধ করে দিয়ে গোল করে বসেন আদুরিস। স্বদেশী স্ট্রাইকার মুনিয়ানের পাস থেকে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন তিনি।

দুই মিনিট বাদেই স্বাগতিকদের সমতায় ফেরাতে পারতেন প্রেদ্রো। কিন্তু তার শটটি বাঁ পায়ে ঠেকিয়ে দেন আতলেতিকোর গোলরক্ষক।

৬৪ মিনিটে অতিথি দলকে আবারো বিমুখ করে দুর্ভাগ্য। আদুরিসের আরেকটি শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।

ফ্রি-কিক থেকে মেসির গোল

উদযাপন লিওনেল মেসির

তবে ৭২তম মিনিটে আর সমর্থকদের হতাশ করেননি পেদ্রো। ডি বক্সের ডান দিক থেকে ডিফেন্ডার দানি আলভেসের পাস থেকে সানচেসের পা হয়ে বল আসে পেদ্রোর কাছে। ছয় গজ দূর থেকে লক্ষ্যভেদে কোনো ভুল করেননি তিনি।
আর তার দুই মিনিট বাদেই দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিকে দলকে এগিয়ে দেন মেসি।
৮৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মেসি। ৮৮ মিনিটে গোলরক্ষকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি স্বাগতিকদের বদলি হিসেবে নামা স্ট্রাইকার তেয়ো।