বুয়েটের ক্রীড়া পরিচালক মারুফ রোববার তার কার্যালয়ে বসে বলেন, “বিষয়টিতে আমি কিছুটা অবাকই হয়েছি। তবে খুব একটা হতাশ হইনি। কোচদের জীবনটাই এমন, সফলতা এনে দিতে পারলে প্রশংসা পাবেন, আর তা না পারলে অপবাদ নিতে হবে।”
শেখ রাসেল তিনি নিজে থেকেই ছেড়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছিলেন বলে জানান মারুফ।
“মৌসুমের শুরু থেকেই শেখ রাসেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার একটা টানাপোড়েন চলছিল। তাই নিজে থেকেই ভেবে রেখেছিলাম ভবিষ্যতে দলটির সঙ্গে সম্পর্ক হয়তো আর রাখবো না। কিন্তু মৌসুমের মাঝামাঝিতেই ছাঁটাই হওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।”
গত মৌসুমের শেখ রাসেলের সঙ্গে এই মৌসুমের দলটির বিস্তর পার্থক্য। গত মৌসুমে তিন তিনটি শিরোপাজয়ী দল এ মৌসুমে কোনো শিরোপা এখনো জিততে পারেনি। পেশাদার লিগেও চতুর্থ স্থানে রয়েছে তারা।
এর জন্য অবশ্য দুই মৌসুমে শেখ রাসেলের দলের পার্থক্য তুলে ধরেন মারুফ, “সফলতা পেতে হলে দলে ভালো খেলোয়াড়ও চাই। গত মৌসুমে আমার দলে ছিল নয় জন জাতীয় দলের খেলোয়াড়। এবার আছে মাত্র একজন। তাই এই দল নিয়ে সফলতা পাওয়া মুশকিল ছিল।”
ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলেই কোচিং না করানোর চিন্তা করছেন মারুফ।
“এখন আমি উয়েফার প্রো কোচিং লাইসেন্স -২ করা নিয়েই ভাবছি। ভবিষ্যতে দেশের ঘরোয়া ফুটবল কোচিং করাবো কি-না তা নিয়ে আমাকে ভাবতে হবে।”