মাঠ নিয়ে বিপাকে অপরিণামদর্শী বাফুফে

ফুটবলের সমস্যা যেন কাটতেই চায় না। একটা সময়ে মাঠ থাকলেও তাতে খেলা গড়াতো না। আর এখন দেখা দিয়েছে উল্টো সমস্যা—খেলা আছে, মাঠ নেই। পেশাদার লিগ চালাতে গিয়ে এখন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বড় দুশ্চিন্তার নাম মাঠ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2014, 03:12 PM
Updated : 17 April 2014, 03:12 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম—এই দুটি ছাড়া বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) তেমন কোনো মাঠ নেই বললেই চলে। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এলে এই দুটো মাঠও হাতছাড়া হয়ে যায়।

গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও ফেনীর এই তিনটি মাঠ মানসম্পন্ন নয় বলেই দাবি পেশাদার লিগের ক্লাবগুলোর। এ কারণে কয়েকটি ক্লাব ঢাকার বাইরে এসব ভেন্যুতে লিগের দ্বিতীয় পর্ব খেলতে আপত্তিও জানিয়েছে।

ক্লাবগুলোর আপত্তি যে অযৌক্তিক নয়, সেটা বোঝা যায় বাফুফের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদির কথাতেই। ঢাকার বাইরের ভেন্যু তিনটি পরিদর্শন করে এসে মাঠগুলোতে সমস্যা থাকার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। তবে সেগুলো সমাধান যোগ্য বলেও দাবি করেছেন সালাম মুর্শেদি।

অথচ পেশাদার লিগ কমিটি অথবা বাফুফের মাঠের সমস্যাটা আরো আগে চোখে পড়াটা উচিত ছিল। পেশাদার লিগ দ্বিতীয় পর্ব শুরুর পর পর তাদের এটা খেয়াল হলো। এত দিন পর এসে সালাম মুর্শেদির মনে হয়েছে, ফুটবলের উন্নয়নের জন্য সত্যিই মাঠ নিয়ে ভাবা প্রয়োজন।

“মাঠ নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাববার সময় এসেছে। এমন নয় যে দেশে মাঠ নেই। যেগুলো আছে সেগুলোকে পরিচর্যা করে ফুটবল খেলার উপযোগী করে তুলতে হবে। তাই আমাদের লক্ষ্য সারা দেশ থেকে অন্তত দশটি মাঠ নির্ধারন করে সেগুলোকে ফুটবল খেলার উপযোগী করে তুলবো।”

মাঠ নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়ার কথা বললেন বাফুফের আরেক সহ-সভাপতি ও ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বাদল রায়।

“ফুটবলের উন্নয়নের জন্য এখন সময় এসেছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেয়ার। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাঠ। যদি ভালো মাঠ না থাকে তাহলে ভালো ফুটবল খেলা আশাই করা যায় না। এই জন্য আমরা নতুন পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছি। যা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে এই মাঠ-সঙ্কট হয়তো আর থাকবে না।”

বাংলাদেশের ফুটবলে এর আগেও অনেক দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা বহুবার শোনা গেছে। কিন্তু সঙ্গে ছোট একটি পাদটিকাও প্রতিবার থাকে—আপাতত সামনে আসা সমস্যার সমাধান হোক। এবারও এই পাদটিকা যোগ করে দিলেন বাদল রায়।
“তাছাড়া ফুটবল শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক রাখলে হবে না। সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। সে জন্য আমাদের মূল লক্ষ্য ঢাকার বাইরের মাঠগুলোকে ভালোভাবে প্রস্তত করা। আর তা নিয়েই আমরা ভাবছি।”