বুধবার এই দুর্ঘটনায় স্টেডিয়ামের বাইরের দিকের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, নির্ধারিত সময়ে স্টেডিয়ামগুলোর নির্মাণ ও সংস্কার কাজ শেষ করা যাবে কিনা।
ব্রাজিলের পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় আরো কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
ফিফার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করবে।
ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় শহর সাও পাওলোর এই স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য দ্রুতগতিতে কাজ চলছিল। স্টেডিয়ামের ছাদের একটি অংশ ওঠানোর সময় ক্রেনটি ভেঙে পড়ে।
নির্মাণকাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা আন্দ্রেস সানচেস জানান, দুর্ঘটনার কারণ এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি।
নির্মাণকাজে দেরি, দুর্ঘটনা, ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং সরকার বিরোধী বিক্ষোভে এমনিতেই বিপাকে আছে আয়োজকরা। এই দুর্ঘটনায় ব্রাজিলের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে আরেকটি ব্যঘাত ঘটলো।
সাও পাওলোর আগে ব্রাসিলিয়া ও মানাউস স্টেডিয়ামেও দুর্ঘটনায় শ্রমিক মারা গেছে। এই তিনটি স্টেডিয়ামের কাজ ডিসেম্বরে ফিফার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা নিয়ে শঙ্কায় আছে কর্মকর্তারা। বিশ্বকাপের ১২টি ভেন্যুর মধ্যে ছয়টি এখনও প্রস্তুত হয়নি।
সাও পাওলো স্টেডিয়ামের কাজ ৯৪ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী ১২ জুন বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের পর একটি সেমি-ফাইনালসহ আরো পাঁচটি ম্যাচ এ স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা।