কভিড-১৯ রোগ মহামারী আকার ধারণ করায় বিশ্বের অধিকাংশ ক্রীড়া ইভেন্টের মতো সুইস লিগও আপাতত বন্ধ রয়েছে। আগামী কয়েক মাস অধিকাংশ আয় থেকে বঞ্চিত হতে চলেছে ক্লাবগুলো। তাই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে অমন সিদ্ধান্ত নেয় সিওঁ। আর সেটিকে কেন্দ্র করেই ঘটেছে এমন ঘটনা।
কঠিন সময়ে যেখানে সবার এক হয়ে থাকা দরকার, সেখানে সিওঁর এই সিদ্ধান্ত ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এসএএফপির প্রেসিডেন্ট লুসিয়াঁ ভালোনি।
“সঙ্কট দেখা দিলে আপনাকে আপনার কর্মচারীদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে; তাদের মাথায় বন্দুক রেখে বলা যাবে না, বেতন কর্তনের সিদ্ধান্তে হ্যাঁ অথবা না বলার জন্য তাদের হাতে ২৪ ঘন্টা সময় আছে। আর তারা যদি ‘না’ বলে, যে অধিকার তাদের আছে, তাহলে তাদের বরখাস্ত করা হবে।”
তার মতে, ক্লাবের বেতন কাটার সিদ্ধান্ত ছিল অযৌক্তিক। সমস্যা সমাধানে তারা অন্য কিছুও ভাবতে পারতো।
ভালোনির মন্তব্যে তাৎক্ষনিক কোনো জবাব দেয়নি সিওঁ।
খেলোয়াড় বরখাস্তের পর ক্লাব সভাপতি ক্রিস্টিয়ান কনস্ট্যানটিন জানিয়েছিলেন, সবার যেখানে অবদান রাখতে হবে সেখানে যারা অবদান রাখতে চায় না, তাদের রাখার কোনো কারণ নেই।
২০০৩ সালে কনস্ট্যানটিন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনেক কারণেই খবরের শিরোনাম হয়েছে ক্লাবটি। এই সময়ে দলটিতে প্রায় ৪০ জন নতুন নতুন কোচ এসেছেন।
অনুপযুক্ত খেলোয়াড় খেলানোর দায়ে ২০১১ সালে ইউরোপা লিগ থেকে বহিষ্কার হয়েছিল সিওঁ। ট্রান্সফার ফি বিষয়ক ঝামেলায় জড়িয়ে ২০১৮ সালে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয় দলটি।
একই বছর এক টিভি বিশেষজ্ঞকে চড় মেরে ১৪ মাস নিষিদ্ধ হন কনস্ট্যানটিন, পরে সাজা কমে হয় ৯ মাস।