রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে বুধবার রাতে লা লিগায় ১-০ গোলে জিতেছে বেতিস। জয়ের নায়ক তরুণ ফরোয়ার্ড আন্তোনিও সানাবিরা।
এবারের লিগে ঘরের মাঠে এ নিয়ে তিন ম্যাচ খেলে জয়শূন্যই রইল জিনেদিন জিদানের দল।
রিয়ালের বিপক্ষে স্মরণীয় এই জয়ে বেতিসের উজ্জ্বল আক্রমণভাগের পাশাপাশি জমাট রক্ষণও যথেষ্ট প্রশংসার দাবিদার। শেষ বাধা স্প্যানিশ গোলক্ষক আন্তোনিও আদানও ছিলেন দেয়াল হয়ে।
দশম মিনিটে ইসকোর কর্নারে সতীর্থের পা ঘুরে আসা বল গোলমুখে পেয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু জটলার মধ্যে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি। ব্যাকহিলে চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু বল একজনের গায়ে লেগে বাইরে চলে যায়।
২৯তম মিনিটে ডি-বক্সের মুখ থেকে রোনালদোর জোরালো শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। ছয় মিনিট পর কারভাহালের ভুলে ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়ে কিছুটা আড়াআড়ি দৌড়ে ফাবিয়ান রুইসের নেওয়া জোরালো শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান নাভাস।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে আবারও হতাশ করেন চারবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। বাঁ থেকে বেলের দারুণ ক্রস ভালো জায়গায় পেয়েও বল উড়িয়ে মারেন। সুযোগ নষ্টের মহড়া চলতে থাকে অতিথি শিবিরেও। ৫৫তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে একা ডি-বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ফ্রান্সিস।
গোল পেতে মরিয়া জিদান ৬৭তম মিনিটে মিডফিল্ডার ইসকোকে বসিয়ে আসেনসিওকে নামান। খানিক পর ডিফেন্ডার মার্সেলোর জায়গায় ফরোয়ার্ড ভাসকেস ও লুকা মদ্রিচের জায়গায় আরেক ফরোয়ার্ড মায়োরালকে নামান কোচ।
অবশেষে একেবারে শেষ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন সানাবিরা। স্বদেশি ডিফেন্ডার আন্তোনিও বারাগানের ক্রসে হেডে নাভাসকে পরাস্ত করেন ২১ বছর বয়সী স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ড।
দুই জয় ও দুই ড্রয়ে রিয়ালের ৮ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে আছে রিয়াল। শীর্ষে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার চেয়ে পিছিয়ে ৭ পয়েন্ট।
দিনের অন্য ম্যাচে লাস পালমাসকে ১-০ গোলে হারানো সেভিয়া ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে।
আথলেতিক বিলবাওকে ২-১ গোলে হারানো আতলেতিকো মাদ্রিদ ১১ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে।