বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনীর জয়টি ৩-১ গোলের। টানা চার জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে গতবারের রানার্সআপ দলটি। অন্যদিকে দ্বিতীয় হারের স্বাদ পাওয়া শেখ রাসেলের পয়েন্ট ৪।
সারা দিনের টিপটিপ বৃষ্টিতে মাঠ ছিল ভারী। কিন্তু দুই দলের খেলায় গতি ছিল মোটামুটি।
একাদশ মিনিটে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। বাঁ দিক থেকে জাহিদ হোসেনের কর্নারে ওলাডিপোর হেড জালে জড়ায়।
২৫তম মিনিটে দাউদা সিসের ফ্রি-কিক দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে সমতায় ফেরা হয়নি শেখ রাসেলের।
৪০তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ঢোকা জাহিদকে আটকাতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন জিয়াউর রহমান। শেখ রাসেলের গোলরক্ষককে কাটিয়ে জাহিদ ক্রস বাড়ালেও ডিফেন্ডাররা বিপদমুক্ত করেন।
৫২তম মিনিটে উডোকার আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে শেখ রাসেল। মাঝ মাঠের একটু ওপর থেকে শেখ রাসেলের এক খেলোয়াড়ের লম্বা করে বাড়ানো বলে নাইজেরিয়ার এই ডিফেন্ডার হেড করে গোলরক্ষকের হাতে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল ঝাঁপিয়ে পড়া আরিফুল ইসলাম রানাকে ফাঁকি দিয়ে বল ঠিকানা খুঁজে পায়।
গোছালো আক্রমণ থেকে ৭৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ডান দিক থেকে মনুসর আমিনের মাপা ক্রসে ওলাডিপোর হেড ঠিকানা খুঁজে পায়। লিগে নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ডের এটি তৃতীয় গোল।
৮০তম মিনিটে টানা চতুর্থ জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনীর। সতীর্থের থ্রু পাস ধরে গোলরক্ষককে একা পেয়ে সহজে লক্ষ্যভেদ করেন সবুজ। ৪ গোল নিয়ে লিগে এ মুহূর্তে গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে তিনি। শেষ পর্যন্ত দারুণ জয়ে শীর্ষে ওঠে চট্টগ্রাম আবাহনীও।