বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় রাশিয়ার কাজানে কনফেডারেশন্স কাপের প্রথম সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইউরোর চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল ও কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন চিলি। আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে পিস্সি আরও জানান, শুধু রোনালদো নয়, পুরো পর্তুগাল দলকে নিয়েই ভাবনা তার।
“অবশ্যই আমরা যখন খেলি, সবসময় প্রতিপক্ষকে বিশ্লেষণ করি; কে খেলছে, সেটা কোনো ব্যাপার নয়। রোনালদো পর্তুগাল দলের অংশ এবং অবশ্যই তাকে আমাদের নজরে রাখতে হবে এবং তার শক্তির জায়গায় পাল্টা আঘাত করতে হবে। তার অনেক সামর্থ্য আছে কিন্তু আসলেই আমরা (তার জন্য) বিশেষ কিছু করব না; সবসময় একটা ম্যাচ খেলার জন্য যা করি, সেটাই করব।”
“একটা বিষয়কে আমরা খুব গুরুত্ব দেই, সেটা হচ্ছে, আমাদের ম্যাচ পরিকল্পনা দলের প্রতিটি খেলোয়াড়কে কাজে লাগায়। আমরা একটা গ্রুপ, একটা আসল দল এবং এটি মাঠে ১১ জন খেলোয়াড়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আমরা একটা উপায়ে আসলেই সফল হতে পারি, যদি প্রতিটি খেলোয়াড় মাঠে তাদের সর্বোচ্চটা দেয়।”
“আগে যেটা বলেছি, আমি শুধু সে কথার পুনরাবৃত্তি করতে পারি, আমরা যাদের বিপক্ষে খেলি, তাদের বিশ্লেষণ করি। তাই পর্তুগালকেও একটা দল হিসেবে বিশ্লেষণ করেছি। আমাদের জানার দরকার রোনালদোর দক্ষতাগুলো; কিন্তু আমি মনে করি, আমরা সবাই তা জানি। সে কি করতে পারে তা ১০-১২ বছর ধরে দেখাচ্ছে। সে পঞ্চম ব্যালন ডি’অর পেতে পারে।”
“তার ব্যক্তিগত নৈপুণ্যগুলো অসাধারণ। সে গোল করতে পারে; গতিময়। যতটা পারি রোনালদোর ওই শক্তির জায়গায় আমাদের পাল্টা আঘাত করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে, যে জায়গায় তারা শক্তিশালী, সেই বাতাসে তাদের আটকানোর চেষ্টা করব আমরা। দলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হবে এমন ট্যাকল না করার চেষ্টা করব।”
“আমি আগেও বলেছি, এগুলো আসলেই আমার কাছে কোনো গুরুত্ব বহন করে না। দুটি দলই চমৎকার এবং দুটি দলই ফাইনালে উঠতে চায় এবং ভালো ফল পাওয়ার মতো যথেষ্ট খেলোয়াড় দুটি দলে আছে।”
“আমরা আমাদের কৌশল প্রয়োগের চেষ্টা করব। আগে অনেকবারই বলেছি, আমরা ফেভারিট কিনা সেটা কোনো বিষয় নয়। ফেভারিট তত্ত্বের ভিত্তিতে আমরা আমাদের কৌশল বদলাব না।”