বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এএফসি কাপের বাছাই পর্বে ওঠার প্লে-অফের প্রথম লেগে মুখোমুখি হবে দুই দল। আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে সেইন্টফিটের মতো ভুটান কোচ পেমা দর্জিও জয় নিয়ে ঘরে ফেরার আশাবাদ জানান।
গত পাঁচ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় চারটি, একটি ড্র। ফরোয়ার্ডদের গোল খরা নিয়ে দুর্ভাবনা থাকলেও আধিপত্য ধরে রাখার প্রত্যয় সংবাদ সম্মেলনে জানান সেইন্টফিট।
“কার কাছ থেকে গোল এলো, সেটা নয়, আমি জয় পেলেই খুশি। কোনো গোল না খাওয়াটাও হবে চমৎকার। যদি ১-০ গোলে জিতি, তাহলে খুশি। ২-০ গোলে জিতলে আরও খুশি হব। ৩-০ গোলে জিতলে আরও বেশি খুশি হব। তবে ভুটানে প্লে-অফের ফিরতি লেগের ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগে আমাদের জয় দরকার।”
তবে প্লে-অফে জেতা সহজ হবে না বলে মনে করেন কোচ।
“ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচটি সহজ হবে না; কেননা, সময় বদলেছে। ভুটান অনেক উন্নতি করেছে। কদিন আগে ভুটানে গিয়ে এশিয়ান কাপে ভুটানের তেরতোন্সের কাছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের ৪-৩ গোলের হারটি তার প্রমাণ।”
সোমবার সেইন্টফিটের দেওয়া ২৩ জনের দলে ঠাঁই হয়নি মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম ও প্রানোতোষ কুমার দাশ এবং ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, ইয়ামিন মুন্না, ওয়ালী ফয়সাল ও মিডফিল্ডার প্রাণোতোষ কুমার দাসের। অধিনায়কের বাহুবন্ধনী তুলে দেওয়া হয়েছে গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার বাহুতে। মালদ্বীপ ম্যাচে জায়গা না পাওয়া ফরোয়ার্ড জুয়েল রানা, মেহেদী হাসান তপু, মিডফিল্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদ ও ডিফেন্ডার আতিকুর রহমান মিশু ফিরেছেন দলে।
তরুণদের ওপর আস্থা রাখা সেইন্টফিট জানালেন, ভুটান ম্যাচে কারো অভাব তার দল অনুভব করবে না। মামুনুলের সঙ্গে কোনো ‘ব্যক্তিগত সমস্যা’ নেই জানিয়ে কোচ বলেন, “আমি মনে করি, এটা দলের পারফরম্যান্সে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কেননা, এ দেশে ১৬ কোটি মানুষ আছে, যাদের প্রত্যেকের কোনো না কোনো সমস্যা আছে। বর্তমান দলে যারা আছে, তারা সবাই দেশের জন্য লড়বে। এখানে নির্দিষ্ট কেউ গুরুত্বপূর্ণ নয়।”
ঢাকায় পা রেখেই মালদ্বীপে বাংলাদেশের হারের প্রসঙ্গ টেনে ভুটান কোচ পেমা দর্জি জানিয়েছিলেন জয়ের আশাবাদ। নিজেদের মাঠে খেলা বাংলাদেশকে সমীহ করে একই কথা জানালেন সংবাদ সম্মেলনেও।
“প্রতিপক্ষের মাঠে জেতা সবসময়ই কঠিন। যদি আমরা ড্র করতে পারি, সেটাও ভালো ফল হবে। আমরাও জয়ের জন্য খেলব। আর ফেভারিট প্রশ্নে আমি তো আমার দলের কথাই বলব।”
মাঠও ভাবাচ্ছে ভুটানকে। তারা টার্ফে খেলতে অভ্যস্ত। বঙ্গবন্ধুর ঘাসের মাঠ নিয়ে চিন্তিত পেমা।
“আমরা আর্টিফিশিয়াল টার্ফে খেলতে অভ্যস্ত। কিন্তু এখানে খেলা হবে ঘাসের মাঠে। এটা আমাদের জন্য খুব কঠিন হবে।”