অলিম্পিকের দুই চ্যাম্পিয়নকে পেছনে ফেলতে ২৪ বছর বয়সী নিকার্ক সময় নিয়েছেন ৪৩.০৩ সেকেন্ড, যা ১৯৯৯ সালে স্পেনের সেভিয়েতে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে জনসনের গড়া বিশ্ব রেকর্ডের চেয়ে ০.১৫ সেকেন্ড কম।
লন্ডন অলিম্পিকে সোনা জেতা গ্রানাডার কিরানি জেমস ৪৩.৭৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে হয়েছেন দ্বিতীয়। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের লশন মেরিট (৪৩.৮৫) পেয়েছেন ব্রোঞ্জ।
আট নম্বর লেনে থেকে অবিশ্বাস্য দৌড়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন নিকার্ক। শেষ দিকে এসে জেমস আর মেরিটের গতি যখন কমছে তখন উল্টো গতি বাড়িয়ে বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে ফেলেন তিনি।
অলিম্পিকে এই প্রথম ৪০০ মিটারে শীর্ষ তিন জন ৪৪ সেকেন্ডের নীচে দৌড়ালেন।
সাংবাদিকদের নিকার্ক বলেন, “আমার বিশ্বাস ছিল, আমি বিশ্বরেকর্ড গড়তে পারবো। আমি এই পদক জয়ের স্বপ্ন দেখেছি সারা জীবন।”
১৯৯৬ ও ২০০০ সালে সোনা জেতা যুক্তরাষ্ট্রের জনসন নিকার্কের দৌড় দেখে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে পড়েন।
বিবিসিকে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্প্রিন্টার হিসেবে বিবেচিত জনসন বলেন, “ওহ মাই গড! আট নম্বর লেন থেকে বিশ্ব রেকর্ড। আমি ২০০ মিটার থেকে ৪০০ মিটার পর্যন্ত এমন কিছু কখনও দেখিনি।”
নিকার্কই বিশ্বের একমাত্র অ্যাথলেট যিনি ১০০ মিটার ১০ সেকেন্ড, ২০০ মিটার ২০ সেকেন্ড ও ৪০০ মিটার ৪৪ সেকেন্ডের নীচে দৌড়েছেন।
বিশ্বের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট উসাইন বোল্ট অবসরে যাবেন। তবে বিশ্ব সম্ভবত পেয়ে গেছে আগামীর তারকাকে।