টুর্নামেন্টে খুব বেশি আলো ছড়াতে না পারলেও পর্তুগালকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রাখেন রোনালদো। স্বাগতিক ফ্রান্সের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও তিনিই ছিলেন ফের্নান্দো সান্তোসের দলের মূল ভরসা। আসলে পুরো পর্তুগালই তার দিকে তাকিয়ে ছিল।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটে দিমিত্রি পায়েতের সঙ্গে সংঘর্ষে ব্যথা পেয়েছিলেন রোনালদো। এরপর দুইবার চোটের পরিচর্যায় মাঠের বাইরে গিয়েছিলেন, আবার ফিরেও এসেছিলেন। দেশের হয়ে প্রথম শিরোপা জেতার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য মাঠে থাকতে সম্ভাব্য সব চেষ্টাই করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২৫তম মিনিটে স্ট্রেচারে শুয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড।
রোনালদো মাঠের বাইরে ছিটকে পড়ায় অনেকেই মনে করেছিলেন, পর্তুগালের ইউরো জয়ের স্বপ্ন আর পূরণ হবে না। কিন্তু এদেরের গোলে ফ্রান্সকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইউরোর শিরোপা জেতে পর্তুগাল।
অতিরিক্ত সময়ের খেলার বিরতিতে আলাদা করে প্রত্যেক সতীর্থকে অনুপ্রেরণা দিয়ে আসেন। ১০৮তম মিনিটে যে ফ্রি-কিকে ফ্রান্সের গোলরক্ষক উগো লরিস পরাস্ত হয়েছিলেন, সেটি রাফায়েল গেররেইরোকে নেওয়ার জন্য রোনালদোই পরামর্শ দিয়েছিলেন। তার অসাধারণ কিকে বল লাগে ক্রসবারে। পরের মিনিটেই এদেরের পা থেকে আসে জয়সূচক গোলটি।
রোনালদোর এই আচরণকে মাত্রাতিরিক্তি আবেগ বলে উল্লেখ করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর্তুগিজ কোচ মরিনিয়ো।
স্পোর্ত টিভিকে মরিনিয়ো বলেন, “ফাইনালের শেষ মিনিটগুলোয় তার অবদান কিছুই ছিল না। মাঠে ১১ জন খেলোয়াড় তাদের কাজ করছিল এবং তাদের দায়িত্বে যে ব্যক্তি ছিল তিনি কোচ।”