বেতিসের মাঠে ম্যাচটি শুরু হবে আগামী শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টায়।
লা লিগা শেষ হতে আর তিন রাউন্ড বাকি আছে। ৩৫ রাউন্ড শেষে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকায় সমান পয়েন্ট নিয়েও দ্বিতীয় স্থানে আছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। আর তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৮১।
শনিবার ম্যাচ আছে শিরোপা লড়াইয়ে বার্সেলোনার দুই তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল আর আতলেতিকোরও। সবার আগে মাঠে নামবে জিনেদিন জিদানের রিয়াল। তাদের ম্যাচ শেষে নিজেদের মাঠে খেলতে নামবে আতলেতিকো। আর এই দুই দলের খেলার ফল জেনে মাঠে নামবে বার্সেলোনা।
রিয়াল আর আতলেতিকো জিতলেই এগিয়ে যাবে, আর পা হড়কালেই ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে বার্সেলোনার শিরোপা ধরে রাখার অভিযান; বেতিসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে উদ্বেগ কি পেয়ে বসতে পারে এনরিকের দলকে?
ম্যাচের আগের দিন এনরিকে বলেন, “কখনও কখনও আমাদের আগে খেলতে হয় এবং জিতি। আর এটা তাদের উপর চাপ তৈরি করে। কখনও এর উল্টোটাও হয়। আমরা যা করতে পারি তা হলো, খেলতে যাব এবং আমাদের ম্যাচগুলো জিতব।”
“মৌসুমের শেষ ম্যাচগুলোতে এসে বিশেষ একটা উদ্বেগ থাকে এবং যারা জিতবে তারা এই চাপ সামলাতে যথেষ্ট শক্ত থাকবে।”
আগের দুটি ম্যাচের কথা না ভেবে এনরিকে শুধু নিজেদের খেলাতেই মনোযোগ দিতে চান।
“আমি রিয়াল মাদ্রিদ বা আতলেতিকো মাদ্রিদের ম্যাচে মনোযোগ দিয়ে কোনো শক্তি ব্যয় করছি না। আমি শুধু বেতিস নিয়ে ভাবছি। প্রত্যেক ম্যাচই কঠিন। কিন্তু বিষয়গুলো আমাদের উপর নির্ভর করে। কারণ, আমরা শীর্ষে আছি।”
শিরোপা লড়াইটা জমে ওঠে মূলত বার্সেলোনার হঠাৎ করেই ছন্দ হারানোর কারণে। ৩০ রাউন্ড শেষে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের চেয়ে ৯ পয়েন্ট এগিয়ে থাকা বার্সেলোনা সহজেই লিগ শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু পরের তিন ম্যাচের তিনটিতেই হারে তারা। লুইস এনরিকের দলের এই হোঁচট কাজে লাগিয়ে তাদের সঙ্গে পয়েন্ট সমান করে ফেলে আতলেতিকো। আর এক সময়ের ১২ পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে একে নিয়ে আসে রিয়াল।
তবে এর পর দেপোর্তিভো লা করুনাকে ৮-০ আর স্পোর্তিং গিহনকে ৬-০ গোলে হারিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বার্সেলোনা। দারুণ ছন্দে আছেন এই দুই ম্যাচে চারটি করে গোল করা তারকা ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেস। ‘এমএসএন’ নামে পরিচিত আক্রমণ ত্রয়ীর অপর দুই সদস্য লিওনেল মেসি আর নেইমারের গোলে ফেরার স্বস্তিও আছে কাতালান ক্লাবটিতে।
বাকি থাকা তিন ম্যাচেও বার্সেলোনা এমন দুর্দম্য থাকবে বলেই বিশ্বাস ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকের।
“লিগের তিনটি ম্যাচ আছে এবং নিজেদের উপরই আমরা নির্ভর করছি। তবে ম্যাচগুলো না জিতলে আমরা লিগ হারতে পারি। এই ক্লাবে আমাদের বড় শিরোপাগুলোর জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয় এবং লিগ বড় একটি শিরোপা।”
৪১ পয়েন্ট নিয়ে ত্রয়োদশ স্থানে থাকা বেতিস ঘরের মাঠে সবশেষ আট ম্যাচের কেবল একটিতেই হেরেছে। বার্সেলোনা ম্যাচের আগে দলটির সবচেয়ে বড় প্রেরণা, অবনমন এড়াতে এখনও গাণিতিকভাবে এক পয়েন্ট প্রয়োজন তাদের।
মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানে অবশ্য ভালো কিছু নেই বেতিসের জন্য। লিগে বার্সেলোনার বিপক্ষে ৯ ম্যাচ জয়হীন থাকা বেতিস সবশেষ ৫ ম্যাচের সবকটিতেই হারে।
এর পরও সতর্ক এনরিকে দলটিকে সমীহের চোখেই দেখছেন।
“সমর্থকরা সব সময় তাদের পেছনে আছে এবং এর প্রভাব স্কোরে থাকতে পারে। তবে এটা যেন না হয় সেটা নিশ্চিত করা আমাদের উপরই নির্ভর করে।”