শুক্রবা ম্যাচের শুরুতেই একটা ধাক্কা খায় স্পেন। চোটের কারণে দশ মিনিটের ভেতরে মাঠ ছাড়েন মিডফিল্ডার দাভিদ সিলভা।
নিজেদের মাটিতে প্রথম পরিষ্কার সুযোগটি অবশ্য তৈরি করে স্পেনই। একাদশ মিনিটে কাসোরলার নিচু ক্রস বিপজ্জনক জায়গায় খুঁজে পায় জর্দি আলবাকে। কিন্তু এই ডিফেন্ডারের শট লক্ষ্যে থাকেনি।
ছয় মিনিট পর আবার সুযোগ আসে স্পেনের সামনে। এবার গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন আরেক ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকে। স্বাগতিকদের হতাশা আরও বাড়িয়ে ২২তম মিনিটে কাসোরলার শট ব্যর্থ হয় ক্রসবারে লেগে।
৩৪তম মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন স্পেনের স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতা।
অবশেষে ৪২তম মিনিটে অতিথিদের প্রতিরোধ ভেঙে জালে বল পাঠায় স্পেন। পেদ্রো রদ্রিগেসের প্রচেষ্টা ঠিক মতো ফেরাতে পারেননি লাক্সেমবার্গের গোলরক্ষক। সুযোগ পেয়ে যান কাসোরলা, তার শট ঠিকই জাল খুঁজে পায়।
৭৬তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন আলকাসের। ফাব্রেগাসের আরেকটি চমৎকার পাসকে গোলে পরিণত করতে পারননি তিনি।
চার মিনিট পর আর হতাশ হতে হয়নি আলকাসেরকে। তবে দলের তৃতীয় ও ভালেন্সিয়া ফরোয়ার্ডের দ্বিতীয় গোলে দারুণ অবদান রয়েছে আলবার।
৮০তম মিনিটে ব্যবধান ৩-০ হওয়ার পরও আক্রমণের ধার কমেনি স্পেনের। ৮৬তম মিনিটেই তার সুফল পেয়ে যায় দলটি। আর্সেনালের মিডফিল্ডার কাসোরলা স্বাগতিকদের জয়ের ব্যবধান আরও বাড়ান।
এক ম্যাচ হাতে রেখেই চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করা স্পেনের পয়েন্ট ৯ ম্যাচে ২৪। বেলারুশের কাছে হারের পরও গোল পার্থক্যে ইউক্রেনকে পেছনে ফেলে দুই নম্বরে রয়েছে স্লোভাকিয়া। এই দুই দলের পয়েন্ট ১৯ করে।
নিজেদের শেষ ম্যাচে স্লোভাকিয়া-লাক্সেমবার্গ ও ইউক্রেন-স্পেন মুখোমুখি হবে।