টানা তিন ম্যাচ জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে উঠেছে উজবেকিস্তান।
১০ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন আর সেরা পাঁচ রানার্সআপ ২০১৬ সালে বাহরাইনের মূল পর্বে খেলার টিকেট পাবে। আয়োজক বাহরাইন সরাসরি খেলবে। চার পয়েন্ট নিয়ে সেরা পাঁচ রানার্সআপের একটি হওয়ার লড়াইয়ে নিচের দিকে থেকে বাছাই পর্ব শেষ করল স্বাগতিকরা।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার শুরুতে তৈরি করা সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় উজবেকিস্তান। দ্বিতীয় মিনিটে বক্সের জটলার মধ্য থেকে বাংলাদেশ গোলরক্ষক আনিসুর রহমানকে পরাস্ত করেন ফরোয়ার্ড দস্তোন ইব্রাগিমোভ।
একটু পরই পাল্টা আক্রমণে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। মান্নাফ রাব্বী পোস্টের বাইরে বল মেরে তা নষ্ট করেন।
বাংলাদেশের রক্ষণে চাপ বজায় রেখে ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে থাকে উজবেকিস্তান। তবে আনিসুরের গ্লাভসকে প্রথমার্ধে আর ফাঁকি দিতে পারেনি অতিথিরা।
২৬ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে চারটি সেভ করেন আনিসুর।
যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরার আরেকটি সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। কর্নারে মাশুক মিয়া জনির মাথা ছুঁয়ে যাওয়া বলে রাব্বী হেড করতে ব্যর্থ হলে তা নষ্ট হয়।
৫৭তম মিনিটে আবারও বাংলাদেশের ত্রাতা আনিসুর। এবার বাঁ দিক দিয়ে রক্ষণ ভেদ করে ইব্রাগিমোভের শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান স্বাগতিক গোলরক্ষক।
এরপর দুটি সুযোগ তৈরি করেও তা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। ইব্রাহিমের দূরপাল্লার শট ফেরান অতিথি গোলরক্ষক এবং এরপর রাব্বী বক্সের মধ্যে তালগোল পাকিয়ে স্বাগতিক সমর্থকদের হতাশা বাড়ান।
৬১তম মিনিটে রক্ষণের ভুলে আরও পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মিডফিল্ডার ইব্রাগিমোভের শট টুটুল হোসেন বাদশার পায়ে লেগে ঠিকানা খুঁজে নেয়।
৮০তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করে নেয় উজবেকিস্তান। সতীর্থের লম্বা ক্রস ধরে বাংলাদেশের এক ডিফেন্ডারকে ছিটকে দিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন বোবির আবদিক্সোলিকোভ। আর যোগ করা সময়ে ম্যাচের চতুর্থ গোলটি করেন সুখরোভ নুরুল্লোভ।
শ্রীলঙ্কাকে ২-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ পর্ব শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে ১-১ ড্র করে সাইফুল বারী টিটোর দল।