শনিবারের এই ম্যাচে আর্সেনালের অন্য দুটি গোল করেন থিও ওয়ালকট ও অলিভিয়ে জিরুদ। স্বাগতিকদের গোল দুটি করেন জেমি ভার্ডি।
প্রতিপক্ষের মাঠে ত্রয়োদশ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে আর্সেনাল। মাঝমাঠের কাছাকাছি থেকে লম্বা পাস পেয়ে অনেকটা দৌড়ে ডি বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে গোলটি করেন ইংলিশ স্ট্রাইকার জেমি ভার্ডি।
পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে অবশ্য দ্রুতই নিজেদের সামলে নেয় আর্সেনাল। তবে এখানেও কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়া পায় তারা।
অষ্টাদশ মিনিটে ভার্ডির আরেকটা প্রচেষ্টা পোস্টে লাগলে বেঁচে যায় অতিথিরা। তারপরই দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে থিও ওয়ালকটের নৈপুণ্যে সমতায় ফেরে তারা। সান্তিয়াগো কাসোরলার পাস ধরে বেশ খানিকটা দৌড়ে এসে বাঁ পায়ের শটে বল জালে জড়ান এই ইংলিশ স্ট্রাইকার।
৩৩তম মিনিটে ম্যাচে প্রথমবারের মতো এগিয়ে য়ায় আর্সেনাল। খুব কাছ থেকে ডান পায়ের শটে স্কোরলাইন ২-১ করেন আলেক্সিস সানচেস। এই মৌসুমে চিলির ফরোয়ার্ড সানচেসের এটাই প্রথম গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে আর্সেনাল। অল্প সময়ে সাফল্যও পেয়ে যায় তারা। ৫৭তম মিনিটে মেসুত ওজিলের চমৎকার একটি চিপে ছোট ডি বক্সের সামনে থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সানচেস।
আর ৮১তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণের পাশাপাশি সহজ জয় নিশ্চিত করেন সানচেস। ২২ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত এক শটে বল জালে জড়ান তিনি।
৮৯তম মিনিটে ডি বক্সের বাঁদিক থেকে ডান পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান কমান ভার্ডি।
তবে যোগ করা সময়ে নাচো মনরিলের ক্রসে অলিভিয়ে জিরুদ ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ালে বড় ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্সেনাল।
এই জয়ে ৭ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে আর্সেনাল।
দিনের অন্য ম্যাচে সান্ডারল্যান্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
দিনের প্রথম ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পারের মাঠে ৪-১ গোলে হেরে যাওয়া ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ১৫।
দিনের অন্য ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলাকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে লিভারপুল।