পৃথিবী-আকৃতির গ্রহের সংখ্যা ১৭শ’ কোটি!

ছায়াপথে পৃথিবীর আকারের ১৭শ’ কোটি গ্রহ রয়েছে। রাতের আকাশে প্রতি ছয়টি নক্ষত্রের অন্তত একটিতে পৃথিবী-আকৃতির গ্রহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Jan 2013, 06:12 AM
Updated : 9 Jan 2013, 06:12 AM

ছায়াপথের প্রতি ছয়টি নক্ষত্রের অন্তত একটি নক্ষত্রকে ঘিরে পৃথিবী আকৃতির গ্রহ আবর্তন করছে। এ হিসাব অনুযায়ী, ছায়াপথে পৃথিবীর আকারের গ্রহের সংখ্যা মোট ১৭শ’ কোটি বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা’র কেপলার টেলিস্কোপ (দূরবীক্ষণ যন্ত্র) ব্যবহার করে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এ তথ্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ১৭ শতাংশ নক্ষত্রকে ঘিরে পৃথিবীর দেড় গুণ আকৃতির অন্তত একটি গ্রহ আবর্তন করছে।

এগুলোর বার্ষিক গতি সৌরজগতের সবচেয়ে ছোট গ্রহ বুধের মতো ৮৫ দিন বা তার বেশি। এ হিসেবে আমাদের ছায়াপথে আছে পৃথিবীর আকারের অন্তত ১ হাজার সাতশ’ কোটি গ্রহ।

কেপলার গবেষক দল এও জানিয়েছে যে, আরো ৪৬১টি এ ধরনের নতুন গ্রহের খোঁজ পেয়েছেন তারা। এ নিয়ে এ পর্যন্ত কেপলারের খুঁজে পাওয়া গ্রহের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ হাজার ৭৪০টি।

৪৬১টি গ্রহের মধ্যে অন্তত ১০ গ্রহে ‘বাসযোগ্য অঞ্চল’ পাওয়া গেছে যেখানে পানি পাওয়া যেতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়ায় ‘আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিকাল অ্যাসোসিয়েশন’ এর ২২১তম বৈঠকে নতুন এ তথ্য জানানো হয়।

২০০৯ সালে সক্রিয় হওয়ার পর থেকে কেপলারের দৃষ্টিসীমার মধ্যে আকাশের একটি নির্দিষ্ট অংশে দেড় লক্ষাধিক নক্ষত্রের ওপর পর্যবেক্ষণ চলছে। এ অংশ মহাকাশের চারশ’ ভাগের এক ভাগ মাত্র।

কোনো নক্ষত্র থেকে প্রতি মিনিটে আসা আলোর মধ্যে দিয়ে কোনো গ্রহ অতিক্রম করলে তা হিসাব করা হয় এর মাধ্যমে। একে ওই গ্রহটির ‘ট্রানজিট’ বলা হয়।

তবে কেপলারের দৃষ্টিসীমার বাইরেও এ ধরনের আরো অনেক গ্রহ রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ‘হাভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের’ গবেষক ফ্রাঁসোয়া ফ্রেসিন।

তিনি বলেন, দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে আমরা শুধু সেই গ্রহগুলোই দেখতে পাচ্ছি যা আমাদের যন্ত্রের দৃষ্টিসীমা ও সনাক্ত ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। তবে এর বাইরেও এ ধরনের আরো অনেক গ্রহ রয়েছে।

তাছাড়া, দূরবীক্ষণের সীমার মধ্যে খুঁজে পাওয়া সবগুলো জ্যোতিষ্ক গ্রহ নয় বলেও জানান তিনি। এগুলোর মধ্যে বেশকিছু বাইনারি নক্ষত্রও থাকতে পারে যা অন্য নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে।

ফ্রেসিন বলেন, কেপলারের মধ্যে দিয়ে আমরা যতোগুলো জ্যোতিষ্ক খুঁজে পেয়েছি তার মধ্যে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ নতুন গ্রহ, বাকিগুলো আগে থেকেই পরিচিত।