‘ঢেঁকুর তোলা’ অবস্থায় ধরা পড়লো কৃষ্ণগহ্বর!

নিকটবর্তী একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি কৃষ্ণগহ্বরের ‘ঢেঁকুর তোলার’ মতো প্রক্রিয়ায় গ্যাসের বিশাল দুটি ঢেউ ছেড়ে দেওয়ার ছবি তুলেছেন জ্যোতির্বিদরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Jan 2016, 09:39 AM
Updated : 6 Jan 2016, 09:50 AM

বিবিসি জানিয়েছে, নাসার চন্দ্র মহাকাশ টেলিস্কোপের এক্স-রে ছবিতে উষ্ণ গ্যাসের দুটি পট্টি চিহ্নিত হয়েছে, উষ্ণ গ্যাসের পট্টিদুটো সামনে থাকা শীতল হাইড্রোজেন গ্যাসকে সামনে থেকে সরিয়ে দিচ্ছে, ছবি দেখে এমনটি মনে হচ্ছে।

মৃদু তরঙ্গে উদ্গিরিত এই বিশাল গ্যাসের পট্টিদুটো ২ কোটি ৬০ লাখ আলোক বর্ষ দূরে ‘ঘূর্ণিস্রোত গ্যালাক্সি’-র সঙ্গী ক্ষুদ্র, অবহেলিত গ্যালাক্সি এনজিসি ৫১৯৪-তে দেখা গেছে। 

নিকটবর্তী কৃষ্ণগহ্বরের এই প্রক্রিয়ায় গ্যাস ছেড়ে দেওয়ার অন্যতম ঘটনা এটি।

আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির (এএএস) ২২৭তম অধিবেশনে এই আবিষ্কারের বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। এটি অতি বৃহৎ কৃষ্ণগহ্বর ও একে ধারণ করা গ্যালাক্সির মধ্যে বস্তু ‘পুনঃপ্রত্যাবর্তনের’ নাটকীয় উদহারণ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

এনজিসি ৫১৯৪ গ্যালাক্সি বিশাল ‘ঘূণিস্রোত গ্যালাক্সি’ এনজিসি ৫১৯৫-এর একটি ক্ষুদ্র সঙ্গী।

গবেষণাটির সহ-গবেষক হার্ভার্ডের স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (সিএফএ) এর ম্যারি ম্যাকচাসেক বলেন, “আমরা ধারণা করছি, এ ধরনের পুনঃপ্রত্যাবর্তন গ্যালাক্সিগুলোকে অতি বিশাল হয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখে।”

“কিন্তু পাশাপাশি এটি নতুন তারা গঠনের কারণও হতে পারে। এই প্রদর্শনী থেকে বোঝা গেছে, কৃষ্ণগহ্বর শুধু ধ্বংসই করে না, সৃষ্টিও করতে পারে।” 

গবেষক দলটি জানিয়েছে, কৃষ্ণগহ্বরগুলো তারা ও গ্যাস গলাধঃকরণ করার জন্য পরিচিত, কিন্তু এখানে বস্তুর এই দুটি বাঁকা পট্টি বড় ধরনের ভোজনের পর ঢেঁকুর তোলার সমতুল্য।