শুক্রবার জেলা ছাত্রলগের সভাপতি মো. ফয়জুর মোর্শেদ খান অমি ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান জনি স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সংগঠনটির জেলা শাখার জরুরি সভায় কৃষি বিষয়ক উপ-সম্পাদক কৌশিক সরকার অপুকে ‘শৃংখলা ভঙ্গের দায়ে’ সংগঠন বহিষ্কার করা হল।
গত ১১ সেপ্টম্বর নেত্রকোণার কিশোরী পান্নার মা আলপনা আক্তারের করা মামলায় ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঠাকুরাকোণা গ্রামের তিন আসামি মেয়েটিকে পাশের মাছের খামারে একটি ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে মেয়েটির মা কৌশলে সেখানে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তখন মেয়েকে ‘বিধ্বস্ত’ দেখাচ্ছিল।
অভিযোগ আরও বলা হয়, ঘরে এসে মেয়েটি ওই তিন আসামি তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায়। কিছুক্ষণ পর ‘ধর্ষণকারী’ যুবকদের একজন তাদের ঘরে গিয়ে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। কিন্তু স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জেনে ফেলে।
পরদিন বেলা ১১টার দিকে পাশের ঘরের আড়ার সঙ্গে মেয়েটির ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অপুকে পারলা বাসস্টান্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপু এ মামলার প্রধান আসামি। বুধবার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। একই দিনে আরেক আসামি মামুন মিয়া আকন্দও (২৬) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
অভিযোগ আরও বলা হয়, ঘরে এসে মেয়েটি ওই তিন আসামি তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায়। কিছুক্ষণ পর ‘ধর্ষণকারী’ যুবকদের একজন তাদের ঘরে গিয়ে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। কিন্তু স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জেনে ফেলে।
পুনঃময়নাতদন্তের জন্য পান্নার লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেলে
নেত্রকোণা সদরে ‘ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যাকারী’পান্না আক্তারের পুনঃময়নাতদন্তের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে।
নেত্রকোণার সিভিল সার্জন মো. তাজুল ইসলাম খান বলেন, পুনঃময়নাতদন্তে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের বদলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে পান্না আক্তারের লাশ পাঠানো হয়।
আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার উপজেলার ঠাকুরাকোণা গ্রামের কবরস্থান থেকে পান্নার লাশ তোলা হয়।