টঙ্গীর মিল গেইট এলাকার ‘টপস অ্যান্ড বটমস লিমিটেড’ কারখানার শ্রমিকেরা রোববার সকালে জেলা প্রশাসন চত্বরে এ বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভ শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।
কারখানার সুয়িং অপারেটর সাথী আক্তার বলেন, “গত ঈদের ছুটির পর ৬ জুন কারখানা খোলার কথা ছিল। সেদিন সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানা বন্ধ দেখতে পাই। কিন্তু ওই বন্ধের জন্য কোন নোটিশ ছিল না।”
তার অভিযোগ, গত জুন থেকে তারা বেতন পাচ্ছেন না। একাধিকবার বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে তা পেছানো হয়। সবশেষ ১৮ অগাস্ট বেতন পরিশোধের কথা থাকলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করেনি।
সাথী বলেন, পাওনা টাকার জন্য কারখানার এমডি ও ডাইরেক্টরদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা রিসিভ করেন না।
“এ অবস্থায় আমারা সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ, দোকান বাকি ও বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে পারছি না। সামনে ঈদ-উল-আযহা। তাই আমরা শ্রম আইন অনুয়াযী সকল পাওনা পরিশোধের জন্য রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি।”
অভিযোগ অস্বীকার করে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, সকল পাওনাদি পরিশোধ করে গত ২৬ মে কারখানাটিতে ঈদের ছুটি দেওয়া হয়। শ্রমিকদের কোনো বেতন বকেয়া ছিল না।
ওইদিন ঢাকায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে তাদের ওই টাকা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বিডিনিউৃজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শ্রমিকরা তাদের পাওনার জন্য স্মারকলিপি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাতীয় শ্রমিক লীগের গাজীপুর মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ইব্রাহিম খলিল, একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কফিল উদ্দিন এ শ্রমিক আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন। স্মারকলিপি দেওয়ার সময় তারা উপস্থিত ছিলেন।