সোমবার দুপুরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শাহীন মো. আব্দুর রহমান চৌধুরী জানান।
মৃত মোহাম্মদ রায়হান (২৪) কক্সবাজার শহরের নুরপাড়ার মৃত আমিন হোসেনের ছেলে। দুটি চুরি মামলায় গত মার্চে রায়হানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
রায়হান স্ট্রোক করে মারা গেছে বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানালেও পরিবারের অভিযোগ তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে।
চিকিৎসক শাহীন বলেন, সোমবার বেলা দেড়টার দিকে রায়হানকে মুমূর্ষ অবস্থায় আনা হয়। আধা-ঘন্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
কক্সবাজার কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক বজলুর রশিদ আকন্দ বলেন, “সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে কারাগারে স্ট্রোক করেন রায়হান। পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর বেলা ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।”
তবে রায়হানের ছোট ভাই মোহাম্মদ আরমান বলেন, “ভাই একেবারে সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিল। রোববারও তার সঙ্গে আমি ও মা কারাগারে গিয়ে দেখা করেছি। এসময় তার মধ্যে অসুস্থতার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
“ কিন্তু একদিনের ব্যবধানে হঠাৎ কারাগার থেকে ফোনে জানানো হয় ভাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। লাশ মর্গে রয়েছে।”
আরমান বলেন, “একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ হঠাৎ মারা যেতে পারে না। কারা অভ্যন্তরে কয়েকদিন আগে অন্য হাজতির সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনায় তার উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। নির্যাতনের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।”
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তিনি।
নির্যাতন করার বিষয়টিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন দাবি করে কারা তত্ত্বাবধায়ক বলেন, “রায়হানের পরিবারের পক্ষ থেকে নির্যাতনের অভিযোগ তোলা হলেও মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ডাক্তারি প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত সত্য প্রকাশ পাবে।
“রায়হানের কোনো রোগ ব্যাধি ছিল না। কিন্তু সোমবার দুপুরে হঠাৎ স্ট্রোক করেন তিনি। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।”
হাসপাতালের আরএমও শাহীন বলেন, রায়হানের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। তারপরও ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।