ষোড়শ সংশোধনী আবার পাস হবে: মুহিত

বিচারপতি অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী সর্বোচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করলেও আবারও সেই সংশোধন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2017, 12:08 PM
Updated : 4 August 2017, 12:53 PM

চার দিন আগে পূর্ণাঙ্গ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশের পর সরকারের আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়ার মধ্যেই শুক্রবার সিলেটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন ।

মুহিত বলেন, “এটা আমরা অ্যাসেম্বলিতে আবার পাস করব.. এই আইনটা। এই কন্সটিটিউশনাল অ্যামেন্ডমেন্টটা আমরা আবার পাস করব এবং অনবরত করতে থাকব। দেখি জুডিসিয়ারি কতদূর যায়।

“বিকজ, জুডিসিয়ারির পজিশন আমার মতে আনটিনেবল (অন্যায্য)। মানুষের প্রতিনিধিদের উপর তারা খোদকারি করবে? তাদের আমরা চাকরি দেই।”

দুপুরে দক্ষিণ সুরমায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভূমি পরিদর্শনে যান মুহিত। সেখানে ষোড়শ সংশোধনীর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের প্রসঙ্গ তুলে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বেশ ক্ষোভের সঙ্গে এসব কথা বলেন মন্ত্রিসভার প্রবীণ এই সদস্য।

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়, যা ষোড়শ সংশোধনী হিসেবে পরিচিত।

সুপ্রিম কোর্টের নয়জন আইনজীবীর এক রিট আবেদনে হাই কোর্ট ২০১৬ সালে সংবিধানের ওই সংশোধনী ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে। গত ৩ জুলাই আপিল বিভাগেও ওই রায় বহাল থাকে, যার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়।

সর্বোচ্চ আদালতের ওই রায়ের ফলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা আবারও জাতীয় সংসদ থেকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই রাখা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু আমলে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনের পর বিচারক অপসারণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত হয়।

পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনের পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় গিয়ে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধন এনে বিচারক অপসারণের বিষয় নিষ্পত্তির ভার দিতে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করেন।

সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী আদালত অবৈধ ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনলেও তাতে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের বিধানে কোনো পরিবর্তন আসেনি।