ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রেপ্তারের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ বলছে, কসবা ও সরাইল উপজেলায় দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালানোর সময় বন্দুকযুদ্ধে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2017, 07:39 AM
Updated : 29 July 2017, 09:43 AM

পুলিশের ভাষ্য, নিহতদের একজন ৩৮টি অটোরিকশা চুরির কথা স্বীকার করেছেন আর একজনের কাছে ১৩৫ কেজি গাঁজা পাওয়া গেছে।

নিহত রোকন উদ্দিন (৪৫) সদর উপজেলার সুহিলপুর এলাকার ইয়কুব মিয়ার ছেলে, আর ইউসুফ মিয়া (২৮) কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের মাইজগাঁও এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

কসবা থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন বলছেন, “গোপন খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে ৯০ কেজি গাজাঁসহ ইউসুফকে আটক করে পুলিশ। তাকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার ভোরের দিকে কুটি ইউনিয়নের মাইজগাঁও এলাকায় তার আস্তানায় মাদক উদ্ধারের জন্য অভিযান চালায় পুলিশ।

“পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইউসুফের সহযোগীরা গুলি চালায়। পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির সময় ইউসুফ ঘটনাস্থলেই মারা যান।”

ঘটনাস্থল থেকে আরও ৪৫ কেজি গাজাঁ, একটি পাইপগান ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে ওসি মহিউদ্দিন বলেন, অভিযানে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।

আর রোকন উদ্দিন মারা যান সরাইল উপজেলার ইসলামাবাদ এলাকায়।

সরাইল থানার ওসি রূপক কুমার সাহা বলছেন, “শুক্রবার দুপুরে গোপন খবরের ভিত্তিতে একটি চোরাই সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ রোকনকে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার কাছে বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি হওয়া আরও ৩৮টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আছে।

“তাকে নিয়ে রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ। ইসলামাবাদ যাওয়ার পর পুলিশের ওপর হামলা চালায় রোকনের সহযোগীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির সময় রোকন ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান; পালিয়ে যান তার সহযোগীরা।”