শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক আব্দুল আলীম বলেন, শুক্রবার ভোর রাত থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ছয়শ যান পারাপারের অপেক্ষায় থাকে।
পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ঘাট থেকে দূরে মাওয়ায় আটকে রাখা হয়েছে। যাত্রীবাহী যানবাহনকে আগে পার করা হচ্ছে।
আব্দুল আলীম বলেন, ভোর থেকেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করে। দিনভর গাড়ির ব্যাপক চাপ ছিল। এর মধ্যে ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশি। যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে আগে প্রাধান্য দিয়ে পার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঈদে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপার করার জন্য এবার চারটি রো রো ফেরিসহ ১৮টি ফেরি বহরে রয়েছে। তাছাড়া নৌ পথের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার কমে যাওয়ায় ফেরির ট্রিপ সংখ্যাও বেড়ে গেছে।
লঞ্চ ও সিবোট ঘাটেও উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের চাপ সামলাতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার হচ্ছে।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই লঞ্চগুলো ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে লঞ্চ মালিক ইকবাল হোসেন বলেন, “আমাকে জিজ্ঞেস করেন কেন? পুলিশকে বলেন। এসব দেখার জন্য পুলিশ, বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আছে। তারা অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়তে দেয় কেন?”
এ ব্যাপারে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনির হোসেন বলেন, ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রীর অনেক চাপ পড়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চারটি মোবাইল কোর্ট ও পুলিশ দিয়ে যাত্রীদের ভ্রমণ ভোগান্তি কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যেন ঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে যেতে না পারে সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে, স্পিডবোট পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
স্পিডবোটে ১২০ টাকার জায়গায় ২শ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, “অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কথা শুনেছি। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।”