বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে বলে বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের সহযোগী বন কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস জানান।
তিনি বলেন, টিলা ধসের কারণে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে পর্যটন কেন্দ্রটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশের প্রধান ফটক ছাড়াও কাঁঠালতলী বাজারের সামনে পর্যটকদের সতর্ক করে বন বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যানারও টাঙানো হয়েছে।
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত এই জলপ্রপাত দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। বছরের প্রায় প্রতিমাসেই এখানে পর্যটকের আসা-যাওয়া রয়েছে। ঈদসহ নানা উৎসবে পর্যটকদের আনাগোনা আরও বেড়ে যায়।
শেখর রঞ্জন জানান, অতিবৃষ্টিতে গত ১৮ জুন মাধবকুণ্ডের ভেতরে যাওয়ার সড়কে পর্যটন রেস্তোরাঁর কাছে প্রায় ৪০ ফুট এলাকা দুই ফুটের মতো দেবে যায়। জলপ্রপাতে নামার স্থানে সিঁড়ির ডান পাশে আরও প্রায় ৪০ ফুট জায়গায় মাটি সরে যায়
“এছাড়া জলপ্রপাতে যাওয়ার পথে সড়কের পাশের উঁচু টিলায় ফাটলের সৃষ্টি হওয়ায় পর্যটন কেন্দ্রটিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।”
বন বিভাগ ও এলজিইডির স্থানীয় কর্মকর্তারা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সিলেট বিভাগের উপ বনসংরক্ষক আর এস এম মুনিরুল ইসলাম বলেন, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধ ও সাধারণের নিরাপত্তা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
“জলপ্রপাতের আশপাশ পরিদর্শন করেছি আমরা; ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় নিয়ে সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব দেবে যাওয়া অংশ মেরামত করে সাধারণের জন্য তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।”
আগামী কয়েকদিনও ভারি বর্ষণের শঙ্কা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রকৌশলীদের মত হচ্ছে- শুষ্ক মৌসুম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যদি প্রয়োজন হয় সময় দিতে হবে আমাদের।”
তিনি বলেন, টিলার গাছগুলোও হেলে পড়েছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে ধস আরও নামবে। জলপ্রপাতটি পর্যটকদের জন্য মোটেই নিরাপদ নয়। এখানে ঝুঁকি নেওয়া যাবে না।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, "জননিরাপত্তার ঝুঁকি ও পর্যটকদের দুর্ঘটনায় পড়ার আশঙ্কা থাকায় প্রশাসনের সহায়তায় বন বিভাগ এটা করেছে।
“বন বিভাগ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করেছে। স্থানে স্থানে ব্যানার টানানো হয়েছে। পর্যটনকেন্দ্রটি ঝুঁকিমুক্ত হলে পর্যটকদের জন্য এটা খুলে দেওয়া হবে।"