কাঁঠালবাড়ি গণহত্যা দিবস ৯ জুন

কুড়িগ্রামের কাঁঠালবাড়ি গণহত্যা দিবস ৯ জুন।

আহসান হাবীব নীলু কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 June 2017, 05:10 PM
Updated : 8 June 2017, 05:33 PM

১৯৭১ সালের এই দিনে কুড়িগ্রাম শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে কাঁঠালবাড়ি বাজার ও আশেপাশের ছয়টি গ্রামে পাকবাহিনী হামলা চালিয়ে ৩৫ জনকে হত্যা করেছিল। একইসঙ্গে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে পুরো এলাকাকে ধবংসস্তূপে পরিণত করে।

দিনটি পালনের জন্য শুক্রবার স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও দিশারী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী কালো পতাকা উত্তোলন, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজনের কথা জানিয়েছে।  

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়ন কমান্ডার আব্দুল আউয়াল বলেন, পাকবাহিনী ওইদিন সকালে কাঁঠালবাড়ি বাজারের তিন দিক থেকে অতর্কিত আক্রমণ করে। অগ্নিসংযোগ করে বাজার ও কয়েকটি গ্রামে।

“এতে বাজারের শতাধিক দোকান ও শিবরাম, সর্দারপাড়া, সন্ন্যাসী, ফকিরপাড়া, প্রমানিকটারী ও খামার গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর ভস্মীভূত হয়।”

গুলিতে প্রামানিকটারির ফজল ব্যাপারী, আবুল কাসেম, ছেরাবউদ্দিন, নুরবক্ত, সর্দারপাড়ার মন্তা, শিবরাম গ্রামের মন্তাজ আলী, আবদুল জলিল, জহুর আলী, খামারের অলিয়ার, মনদ্দি, আজিম, ফকিরপাড়ার নুহ খন্দকার, তালুক কালোয়ার বসন্ত কুমার, প্রতাপের হাছিমুদ্দিন, হরিকেশের রজব আলী, ঘোপাটারীর জহুর উদ্দিন, রায়পুরের ঘেচু মামুদ, সর্দার পাড়ার টেংরি বেওয়া, মাদ্রাসার ছাত্র শাহাদৎসহ ৩৫ জন নিহত হন বলে জানান আউয়াল।

স্থানীয় দিশারী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী শহীদদের কিছু নাম সংগ্রহ করেছে এবং স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে। তবে সরকারি উদ্যোগে শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি, শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও শহীদদের স্মরণে কোনো স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়নি।