আগুন নেভেনি সুন্দরবনে

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জে ধানসাগর স্টেশনের নাংলি টহল ফাঁড়ি এলাকায় লাগা আগুন এখনও পুরোপুরি নেভেনি।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2017, 08:46 AM
Updated : 27 May 2017, 08:52 AM

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মাসুদুর রহমান সরদার জানান, শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গার আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও কিছু জায়গায় এখনও রয়েছে।

ওই এলাকায় শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে আগুন ধরার পর বনকর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট গিয়ে নেভানোর কাজ শুরু করে।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মাসুদুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগুন যাতে নতুন করে আর ছড়াতে না পারে সেজন্য ফায়ারলাইন (অগভীর নালা) তৈরি করা হয়েছে। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে এ বছর বন বিভাগ প্রথম থেকেই স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে ফায়ারলাইন তৈরি করে। আর ফায়ার সার্ভিস তা পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেয়।

“তবে ফায়ারলাইনের ভেতরে এখনও বিক্ষিপ্তভাবে ধোঁয়া রয়েছে। আমরা তা সম্পূর্ণ নেভাতে কাজ করছি। বিকালের মধ্যে আগুন সম্পূর্ণ নেভানো সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”

নাংলি টহল ফাঁড়ির মাদ্রাসার ছিলায় প্রায় পৌনে পাঁচ একর এলাকাজুড়ে ফায়ারলাইন কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম।

তবে এখনও আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

বন কর্মকর্তা সাইদুল বলেন, ঘটনা তদন্তে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. মেহেদীউজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি রোববার থেকে কাজ শুরু করবে।

এসিএফ মেহেদীজ্জামান বলছেন, বনের যে অংশে আগুন লেগেছে সেখানে বড় কোনো গাছ নেই। গেওয়া, বলা ও সিংড়াসহ লতাগুল্মজাতীয় গাছ রয়েছে। এটি নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তদন্তে তা খতিয়ে দেখা হবে।

গত বছর ২৭ মার্চ থেকে পুরো এক মাস নাংলি ক্যাম্প-সংলগ্ন পচাকোড়ালিয়া, টেংরা ও তুলাতুলী এলাকায় জাল পাতার সুবিধার জন্য অন্তত পাঁচ দফা পরিকল্পিত আগুন দেওয়া হয় বলে সে সময় বন বিভাগের কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়। মামলাও হয়েছিল।