পাবনায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

পাবনায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2017, 10:27 AM
Updated : 18 April 2017, 10:27 AM

মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জাকিয়া খাতুন (২৪) ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।

জাকিয়া পাবনা জেলার আমিনপুর থানার আহমেদপুর ইউনিয়নের ভুলকুলিয়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী ও মাসুমদিয়া গ্রামের মাজেদ মোল্লার মেয়ে।

গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় প্রচণ্ড মারপিটে জাকিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে তার স্বজনদের অভিযোগ।

আমিনপুর থানার ওনি তাজুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, “এ ধরনের একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তবে অন্য জেলায় তার মৃত্যু হওয়ার কারণে আমরা বগুড়া সদর থানায় বিষয়টি অবহিত করি। তবে এখানেও ইউডি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।” 

ঘটনার পর থেকে জাকিয়ার স্বামী আব্দুল হাইয়সহ পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন বলে জানান ওসি।

বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম হোসেন বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ময়নাতদন্তর রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নিহত জাকিয়ার মামা দুলাল খাঁ বলেন, এক বছর আগে আমার ভাগ্নি জাকিয়ার সঙ্গে আব্দুল হাই মন্ডলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন তার স্বামী।

“সম্প্রতি জাকিয়া গর্ভে সন্তান ধারণ করলে তার উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্যে চাপ দিতে থাকে তার স্বামী। জাকিয়া গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় সোমবার রাতে তাকে মারপিট করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।”

দুলাল বলেন, এরপর স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন কাশিনাথপুরে এক চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

জাকিয়ার মৃত্যুর খবর শ্বশুরবাড়ির পাশের লোকজন তাদের অবহিত করেন বলে জানান দুলাল।

দুলাল আরও বলেন, “ঘটনার পরপরই আমরা আমিনপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তার স্বামীর পক্ষ থেকে মীমাংসার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু আমারা আইনের বাইরে যাব না বলে জানিয়ে দিয়েছি।”

জাকিয়ার বাবা মাজেদ মোল্লা বলেন, “আমি আমিনপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে বগুড়া যাচ্ছি মেয়ের মৃতদেহ আনতে।”

একথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন জাকিয়ার বাবা।