ব্যবসায়ী সুনীল গোমেজ হত্যায় ‘রাজীব গান্ধীর’ জবানবন্দি

নাটোরের বড়াইগ্রামের খ্রিস্টান ব্যবসায়ী সুনীল গোমেজ হত্যায় হলি আর্টিজানে হামলার ‘অন্যতম পরিকল্পনাকারী’ জেএমবি নেতা জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী ‘দোষ স্বীকার’ করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2017, 02:44 PM
Updated : 9 April 2017, 02:44 PM

রোববার বিকালে নাটোরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সামশুল আল আমীনের কাছে জবানবন্দি দেন বলে পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার সংবাদ সম্মেলন জানান।

২০১৬ সালের ৫ জুন বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া খ্রিস্টান ধর্মপল্লীর মুদি ব্যবসায়ী সুনীল গোমেজকে কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত পরিচয় অস্ত্রধারীরা। হত্যাকাণ্ডের ছয় ঘণ্টা পর আইএস এর দায় স্বীকার করে বার্তা প্রকাশ করে।

ওই রাতে অজ্ঞাতদের আসামি করে বড়াইগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সুনীলের মেয়ে স্বপ্না গোমেজ।

পুলিশ সুপার বিজয় বলেন, “চারদিনের রিমান্ড রাজীব গান্ধী আদালতে হাজির করা হলে তিনি ব্যবসায়ী সুনীল গোমেজ ১৬৪ ধারায় দুপুর ১টা থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।”

নিহত সুনীল গোমেজ

সুনীল গোমেজকে হত্যার সময় ঘটনাস্থলে ‘রাজীব গান্ধীর’ উপস্থিত ছিলেন না জানিয়ে এসপি বলেন, “ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লক্ষ্যে নব্য জিএমবি কিলিং মিশন শুরু করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় রাজীব গান্ধী ও তামীম চৌধুরীসহ পাঁচজন সারাদেশের ন্যায় নাটোরের কয়েকজনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।

“রাজীব গান্ধীর পরিকল্পনা মোতাবেক জেএমবির ছয় সদস্য কয়েক মাস আগে থেকে নাটোরে নিয়মিত যাওয়া আসা করছিলেন। ঘটনার দিন নাটোর ও সিরাজগঞ্জ থেকে দুইজন ও ঈশ্বরদী থেকে একজন ঘটনাস্থলে আসেন।”

গত বছর ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২২ জন মারা যান। সেখানে সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধার অভিযানে ৫ হামলাকারীসহ মারা যান আরও ছয়জন।

এই হামলার ‘অন্যতম পরিকল্পনা’সহ ২২টি হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি রাজীব গান্ধীর বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামে। তার বাবার নাম ওসমান গণি মণ্ডল মুন্সি।

চলতি বছর ১৪ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ৩৩ বছর বয়সী রাজীব মো. জাহাঙ্গীর আলম, নাছির, রাজীব গান্ধী, সুভাষ, জাহিদ, জাকির, আদিল, টাইগার, আবু ওমর আল বাঙ্গাল নামেও পরিচিতি।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান, মামলার তদন্তকর্মকর্তা আব্দুল হাই উপস্থিত ছিলেন।