বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ হামলা হয়।
আহতরা হলেন চর ঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের নৈশ প্রহরী যুবলীগ কর্মী সেলিম উদ্দিন ও তালুক সুপার মার্কেটের নৈশ্য প্রহরী দুলাল উদ্দিন।
তাদেরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সেলিমের সাতটি দাঁত পড়ে গেছে এবং দুলালের চোখে আঘাত লেগেছে বলে চিকৎসক জানিয়েছেন।
“এর জেরে সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য রবীন্দ্র কুমার দাসের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাজারে এসে অতর্কিতে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশ্রাফ উদ্দিন ও সেলুন দোকানদার কানানচন্দ্র শীল গুলিবিদ্ধ হন।”
আশ্রাফের ভাই হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহাম্মদ জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশ্রাফের অপারেশন হয়েছে।
এই ঘটনায় আশ্রাফের আরেক ভাই হাতিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাইফ উদ্দিন আহাম্মদ বাদী হয়ে ৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদ বলেন, আশ্রাফের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সেলিম ও দুলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থাকা পোস্টার লাগাচ্ছিলেন। এ সময় ছাইফ উদ্দিনের মামলার আসামি রবীন্দ্র, শাহনাজ, মহিন ও সোহবারের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী তাদেরকে পিটিয়ে আহত করে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জহিরুল ইসলাম জানান, সেলিমের সাতটি দাঁত পড়ে গেছে এবং দুলালের চোখে ও বুকে জখম হয়েছে।
হাতিয়া থানার ওসি আবদুল মজিদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেছে।