শনিবার রাতে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন সত্যকাম দাশ এ কথা জানান।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় এক সপ্তাহ আগের আরেক জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সূত্র ধরেই মৌলভীবাজারের এই দুটি বাড়ির সন্ধান পাওয়া যায় বলে পুলিশের ভাষ্য।
জেলা পুলিশের সহায়তায় সোয়াট ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট বড়হাটের জঙ্গি আস্তানা ঘেরাও করেছিল গত বুধবার ভোরে। শুক্রবার সকালে বড়হাটের আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসা গলির ডুপ্লেক্স বাড়িটিতে চূড়ান্ত অভিযান ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ শুরু হয়।
সিলেট-মৌলভীবাজার সড়কের আধা কিলোমিটারের মধ্যে এই বাড়িতে অভিযান শুরুর পর থেকে গুলি-বিস্ফোরণের শব্দ আসতে থাকে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সন্ধ্যায় অভিযানে বিরতি দেওয়া হয়।
মৌলভীবাজার থানা ওসি অকিল উদ্দিন বলেন, বিকাল ৪টার দিকে তিন জঙ্গির লাশ উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
“লাশ দেখে মনে হচ্ছে এদের মধ্যে একজন নারী ও দুইজন পুরুষ। ওই নারীর বয়স ২৫ আর পুরুষ একজনের বয়স ৩৫ ও অপরজনের বয়স ৪৫ বছর হতে পারে।”
লাশ দাফনে বিষয়ে এখনও কোনা সিন্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
সিভিল সার্জন সত্যকাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিকালে পুলিশ তিনটি লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। রোববার সকালে তাদের ময়নাতদন্ত হবে।”
এছাড়া নাসিরপুরের অভিযানে নিহত জঙ্গিসহ সাতজনের লাশের ময়না তদন্ত শেষ হয়েছে। সেগুলো এখনও মর্গে আছে বলে জানান তিনি।