বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলের ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে অভিযান চালিয়ে নয় লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান নৌবাহিনীর কমান্ডার মো. শাহরিয়ার আকন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, পাঁচ পুরুষ, দুই নারী ও দুই শিশুর লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তারা হলেন - মোরেলগঞ্জ উপজেলার কাছিকাটা গ্রামের আব্দুল মজিদ শেখ (৭৫), একই গ্রামের নাসির শেখের ছেলে নাজমুল (৬), আলতি বুরুজবাড়িয়া গ্রামের মো. সুলতান হাওলাদার (৫৫) ও আনছার হাওলাদার (৫০), বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আলম চাপরাশির স্ত্রী মোসাম্মৎ সালমা বেগম (৩০), তার ১৮ মাসের ছেলে মো. সাজ্জাদ, হোগলাবুনিয়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৩৫) ও শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা বাজারের বাসিন্দা সামসুল হুদার ছেলে স্থানীয় রায়েন্দা পাইলট হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র আবির আল শামস (১৫) ও মোড়েলগঞ্জের গোপালপুর গ্রামের তবিবুর রহমান তোতার স্ত্রী মুন্নী বেগম (৪০)
উপজেলার থানাঘাটের কাছে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ট্রলার ডুবির পরপরই ৪, বুধবার ১ ও বৃহস্পতিবার ৯ জন - মোট ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
পুলিশের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী এখনও ছয় জন নিখোঁজ রয়েছেন।
পুলিশ এখনও ট্রলার ডুবির কারণ বলতে পারেনি। স্থানীয়রা বলছে, একটি দ্রুতগতির নৌযানের ঢেউয়ে ৫০-৬০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।
ঘটনার পর থেকে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নদীতীরে ভিড় করছেন নিখোঁজদের স্বজনরা।
উদ্ধারকাজের নেতৃত্বে রয়েছেন নৌবাহিনীর কমান্ডার মো. শাহরিয়ার আকন।
নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।