বুধবার সকালে ঘটনাস্থলের তিন কিলোমিটার উত্তরে শ্রেণিখালি এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান জেলা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক সরদার মাসুদুর রহমান।
নিহত রিমা বেগম (২২) মোরেলগঞ্জ উপজেলার পুঁটিখালী গ্রামের নওয়াব আলীর স্ত্রী।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মাসুদুর বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দল গিয়ে ভাসমান অবস্থায় রিমার লাশ উদ্ধার করে। পরে পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করেন।
উপজেলার থানাঘাটের কাছে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ট্রলার ডুবির পর এ নিয়ে মোট পাঁচ নারীর লাশ উদ্ধার করা হলো।
পুলিশ এখনও ট্রলার ডুবির কারণ বলতে পারেনি। স্থানীয়রা বলছে, একটি দ্রুতগতির নৌযানের ঢেউয়ে ৫০-৬০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।
ঘটনার পর থেকে পুলিশ, দমকল বাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নদীতীরে ভিড় করছেন নিখোঁজদের স্বজনরা।
নিখোঁজ একজনের স্বজন মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাসানদল গ্রামের মিজানুর রহমান খোকন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মঙ্গলবার সকালে আমার ভাবি সালমা বেগম (২৭) দেড় বছরের ছেলেকে সাথে করে মোরেলগঞ্জ বাজারের উদ্দেশে বাড়ি থেকে হন। আমরা এখনও তাদের কোনো খোঁজ পাইনি। তাদের খুঁজতে ট্রলার নিয়ে নদীতে ঘুরছি।”
এ রকম আরও অনেকে স্বজনের খোঁজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নদীতে, নদীর তীরে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান জানান, নিখোঁজদের তালিকা তৈরির পর উদ্ধার অভিযান জোরদার করা হয়েছে। যতক্ষণ না তাদের পাওয়া যাচ্ছে অভিযান অব্যাহত থাকবে।