সদর উপজেলার পাজরাভাঙ্গা গ্রামের খলিফা বাড়িতে বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে বলে বরগুনা থানার ওসি মাসুদুজ জামান জানান।
আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সী ওই গৃহবধূকে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতেই তার স্বামী মোশারেফ খলিফাকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মোশারেফ পাথরঘাটা উপজেলার একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। ঘটনার সময় তিনি কর্মস্থলে ছিলেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে গৃহবধূ জানান, তার বাবার বাড়ির জমি বিক্রি করে ‘যৌতুক দেওয়ার জন্যে’ তাকে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছিলেন স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে মোশারেফ ও তার বাড়ির সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে তার ওপর ‘শারীরিক নির্যাতন’ চালাতেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “এর জেরে বৃহস্পতিবার আবারও কথা কাটাকাটি হলে ছোট মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।”
“এক পর্যায়ে তারা আমাকে মারধর করে” বলেন তিনি।
“খবর পেয়ে আমার বাবা ও ভাই গিয়ে আমাকে উদ্ধার করতে চাইলে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদেরও মারধর করে।”
ওসি মাসুদুজ বলেন, “পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ওই গৃহবধূর পায়ে বাঁধা শিকলের তালা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে। ”
এ ঘটনায় স্বামী মোশারেফসহ খলিফা, আল-আমিন, তার স্ত্রী, ইমরান ও কবিরকে আসামি করে ওই গৃহবধূ থানায় মামলা করেছেন বলে জানান তিনি।
“মোশারেফকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।”
বরগুনা সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক সহরাবউদ্দিন বলেন, “রাতে পুলিশ ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”