পাবনায় চার্চের প্রহরীকে কুপিয়ে জখম, আটক ৩

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় এক গির্জার নিরাপত্তা প্রহরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2017, 02:23 AM
Updated : 10 March 2017, 04:24 AM

উপজেলার মথুরাপুরে সেন্ট রিটা চার্চে শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে গির্জার পরিচালনা কমিটির সদস্য মার্টিন ডমিনিক রোজারিও জানান।

গির্জার নৈশপ্রহরী ৬৫ বছর বয়সী গিলবার্ট কস্তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতবছরের প্রথমার্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলা ও হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ১০ জুন পাবনায় অনুকূল চন্দ্র ঠাকুরের সেবাশ্রমের সেবক নিত্যরঞ্জন পাণ্ডেকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক অভিযানের মধ্যে বেশ কিছুদিন পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও নয় মাসের মাথায় আবারও একই কায়দায় হামলার ঘটনা ঘটল।   

তবে গিলবার্ট কস্তাকে কোপানোর ঘটনায় জঙ্গিদের হাত রয়েছে কি না সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস।

মার্টিন ডমিনিক রোজারিও বলেন, প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার রাতেও গির্জার সামনে দায়িত্ব পালন করছিলেন নৈশপ্রহরী গিলবার্ট।

“ভোরের দিকে কয়েকজন এসে চার্চের চাবি চায়। চাবি না দিলে তারা জোর করে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। তখন বাধা দিলে তারা গিলবার্টকে কুপিয়ে জখম করে। চিৎকার শুনে পাশের দোকানিরা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।”

গিলবার্টের স্ত্রী মেরি কস্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চার্চের পাশের দোকানিরা ভোরের দিকে বাড়িতে খবর দেয়, তার স্বামীকে কোপানো হয়েছে।

“আমরা গিয়ে ওকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাই। ওর কপাল ও হাত-পায়ে কুপিয়েছে।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার পর পুলিশ রাজিব, মুরাদ ও ফরিদ নামে তিনজনকে আটক করেছে।

“তাদের সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা মথুরাপুরের পাশের লাউদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।”

২০১৫ সালের শুরু থেকে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সময়ে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী লেখক, ব্লগার, প্রকাশকরা। ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ভিন্ন মতাবলম্বীরাও হয়েছেন জঙ্গি কায়দায় হামলার শিকার।

এসব ঘটনার অধিকাংশই ঘটেছে দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে। কখনো মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গিদল আইএস, আবার কখনও আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা (একিউআইএস) এর দায় স্বীকারের খবর এসেছে বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ডের পর। তবে সরকারের পক্ষ থেকে ওই দাবি নাকচ করে বরাবরই বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বাইরের কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর অস্তিত্ব নেই।