কাদের এখনও পুলিশের ঘেরাওয়ে, ভোট ‘করবেন না’

‘জঙ্গি হামলার আশঙ্কায়’ বাড়িতে পুলিশের ঘেরাওয়ে থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সাবেক সাংসদ আব্দুল কাদের খান আসন্ন উপনির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন।

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2017, 11:27 AM
Updated : 18 Feb 2017, 12:05 PM

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে কাদেরের বগুড়ার বাড়ির সামনে সাদা পোশাক ও ইউনিফর্মধারী পুলিশ অবস্থান নেয়।

এরপর থেকে কারো সঙ্গে তার এবং তার স্ত্রী নাছিমা বেগমের সাক্ষাৎ করতে দেয়নি পুলিশ। তবে শনিবার আর বাধা দেয়নি।  

সুন্দরগঞ্জের ছাপোড়হাটি গ্রামের কাদের পেশায় চিকিৎসক। তার স্ত্রী নাছিমা বেগমও একই পেশার। বগুড়ায় এই দম্পতির বাসায়ই গড়ে তোলা হয়েছে ‘গরীব শাহ ক্লিনিক’।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা কাদের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস‌্য। গত দুই জাতীয় নির্বাচনেই দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও এবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী হচ্ছেন দলের চেয়ারম‌্যান এরশাদের আইন উপদেষ্টা শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন নিহত হলে এ আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী ভোট হবে আগামী ২২ মার্চ। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ‌্যে।

সুন্দরগঞ্জের এই উপ-নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা আহম্মেদ।

শনিবার বগুড়া শহরের রহমাননগর জিলাদারপাড়ায় ডা. কাদেরের গরীব শাহ ক্লিনিক কাম বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির প্রবেশ পথে পোশাকধারী ৫-৬ জন পুলিশ সদস্য অবস্থান করছেন।

ক্লিনিকের নিচে তিন জন সাদা পোশাকধারী ও দোতলায় ডাক্তার কাদেরের চেম্বারের সামনে ওয়েটিং রুমে বগুড়া ও গাইবান্ধার আরও তিন জনকে দেখা যায়।

কাদেরের সঙ্গে তার ক্লিনিকের দোতলার চেম্বারে দেখা হয়। ওই সময় পুলিশের এক সদস্য তার সঙ্গে কথা বলছিলেন। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি বাইরে যান।

ডাক্তার কাদের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গাইবান্ধার পুলিশ সুপারসহ গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা আমাকে জানিয়েছেন- গ্রেপ্তার কিংবা মামলার কারণে বাসার সামনে পুলিশ অবস্থান নেয়নি। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সুন্দরগঞ্জের উপনির্বাচনে আরও যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকেও নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।”

তিনি বলেন, কী কারণে পুলিশের নিরাপত্তা জিজ্ঞেস করা হলে বলা হয়, ‘জঙ্গি হামলা হতে পারে, এ কারণেই এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা।’

কাদের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি আজ কেন্দ্রকে জানিয়ে দিয়েছি, আমি উপনির্বাচনে সুন্দরগঞ্জ থেকে প্রার্থী হব না।”

পুলিশের জঙ্গি হামলার পুলিশের আশঙ্কার ব্যাপারে তিনি বলেন, “আপাতত পুলিশ যা বলছে তা বিশ্বাস করছি। এ ব্যাপারে ধারণা করে আগাম কিছু বলতে পারব না। সময়ই বলে দেবে সবকিছু।”

তবে তার গাড়ির চালক হান্নান আটক না জিঙ্গাসাবাদের জন্য পুলিশের কাছে রয়েছে তা তিনি পরিষ্কার নন। এছাড়া শনবার সকালে পুলিশ তার কর্মচারী নয়নকে তার প্রতিনিধি হিসেবে লাইসেন্স করা দুটি অস্ত্রসহ সুন্দরগঞ্জ থানায় নিয়ে গেছে বলেও তিনি জানান।