‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত জঙ্গি দুই হত্যার সন্দেহভাজন

বগুড়ার কাহালু উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত মো. আবু মুসা গুলশান হামলায় সন্দেহভাজন জেএমবি নেতা ‘রাজীব গান্ধী’র সহযোগী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2017, 08:05 AM
Updated : 14 Feb 2017, 09:20 AM

বগুড়া ‘এ’ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, গত বছরের ২০ মে কুষ্টিয়ার মজমপুর এলাকার বাউলভক্ত হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক মীর সানোয়ার রহমান এবং ৫ জুন নাটোরের বনগ্রাম বাজারে খ্রিস্টান মুদি দোকানি সুনীল গোমেজ হত্যায় জড়িত ছিলেন মুসা।

কাহালু থানার ওসি নূর আলম সিদ্দিকী জানান, সোমবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার পাতনজা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে আবু মুসা নিহত হন। পরে পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত হয়।

৩২ বছর বয়সী মুসার বাড়ি পাবনা সদর উপজেলায়। বিভিন্ন সময় তিনি আবুজার ওরফে আবু তালহা, রবিন, সামিউল নামে জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল বলে পুলিশের ভাষ্য।

ওসি আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাতে পাতনজা এলাকায় ‘একদল সন্ত্রাসী’ টহল পুলিশের দিকে গুলি ছোড়ে।

“পুলিশ পাল্টা গুলি করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখানে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।”

তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে বলে জানান ওসি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন জানান, নব্য জেএমবির সদস্য মুসা পাবনা, কুষ্টিয়া, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলায় সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক ‘রাজীব গান্ধী’র ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

গাইবান্ধার জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধীকে গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মুসা গুলশান হামলার অন্যতম ‘পরিকল্পনাকারী’ এবং রংপুরে জাপানের নাগরিক কুনিও হোশি হত্যাসহ ২২টি হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি বলে পুলিশের তথ্য।

সনাতন চক্রবর্তী বলেন, “সিরাজগঞ্জে জঙ্গি সংগ্রহ, আত্মাঘাতী হামলার প্রশিক্ষণ, জিহাদি বই বিতরণ, চাঁদা সংগ্রহ ও হিজরতের জন্য সঙ্গীদের প্রস্তুত করাসহ জঙ্গি-তৎপরতায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে জড়িত জঙ্গিরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে যে জবানবন্দি দেন, তাতে মুসার নাম উঠে আসে।”