মঙ্গলবার এই নায়িকার তৃতীয় প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এ দাবি জানানো হয়।
সুচিত্রা সেনের শৈশব ও কৈশোরের স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িটির অবস্থান পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে।
১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল জন্ম নেওয়া সুচিত্রার শৈশব-কৈশোর কাটে এই বাড়িতে। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন নায়িকা, যিনি ১৯৭৮ সাল থেকেই লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন।
সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, “আন্দোলন ও আইনি লড়াইয়ের পর সুচিত্রা সেনের পাবনার বাড়িটি জামায়াতের দখলমুক্ত হলেও সংরক্ষণের উদ্যোগ না থাকায় নষ্ট হচ্ছে মহানায়িকার স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি।”
পাবনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র সংসদের স্মরণ সভার মধ্য দিয়ে শুরু হয় তৃতীয় প্রয়াণ দিবসের কর্মসূচি।
পাবনা ড্রামা সার্কেল, একুশে বইমেলা পরিষদ, লালন স্মৃতি পরিষদ, মহীয়সী পাঠ চক্রসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন পালন করেছে পৃথক কর্মসূচি।
সন্ধ্যায় পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সুচিত্রা সেন অভিনীত চলচ্চিত্র মেঘকালো প্রদর্শনের আয়োজন করেছে সুচিত্রা ভক্তরা।
স্মরণ সভার বক্তব্য রাখেন নাট্য সংগঠক মুস্তাফিজুর রহমান, পাবনা রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি প্রবীন সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপন, পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আঁখিনূর ইসলাম রেমন, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব রেজাউল করিম মনি, কবি গোলাম রব্বানি, সাহিত্যিক আখতারুজ জামান, চলচ্চিত্র নির্মাতা বাদল দেওয়ান, নাট্য নির্দেশক ফিরোজ খন্দকার, দোলন আজিজ প্রমুখ।