পটুয়াখালী সদর থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলমা জানান, হত্যার হুমকির অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের বিরুদ্ধে রোববার দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ ও রাইজিংবিডির পটুয়াখালী সংবাদদাতা বিলাস দাস একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
জিডিতে ওই সাংবাদিক উল্লেখ করেন, ছাত্রলীগের দুই সদস্য জিএম জহির রায়হান এবং সাইমুন ইসলাম বাপ্পীর নামোল্লেখ করে খবর প্রকাশ করায় গত ১৩ জানুয়ারি রাতে রাস্তায় একা পেয়ে তার সদস্যদের জড়িয়ে কেন সংবাদ প্রকাশ করা হলো বিলাসের কাছে জবাব চান রাশেদ খান। সেইসঙ্গে বিলাসকে এর প্রতিবাদ দিতে এবং সংশোধন হতে বলেন। না হলে এর পরিণাম ভালো হবে না বলে হুমকি দিয়ে চলে যান রাশেদ।
পরদিন রাতে মুখোশ পরা তিন ব্যক্তি মাহাবুবের মতো পরিণতি না চাইলে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ না করার হুমকি দেয় বলে জিডিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান প্রথমবার হুমকির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “পরে কিন্তু আমি বিলাসকে কোনো ফোন দেইনি।”
দ্বিতীয় দফায় হুমকির বিষয়ে রাশেদ খান বলেন, “এটা জহির ও বাপ্পীকে ফাঁসানোর জন্য কোনো চক্র করতে পারে।”
এদিকে কলেজছাত্র মাহাবুবুর রহমান মুসা হত্যায় জেলা ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ ছয় জনের নামোল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেছেন তার বাবা।
ওসি তারিকুল বলেন, রোববার মাহাবুবের বাবা ইউছুফ আলী পেয়াদা বাদী হয়ে ছয়জনের নামোল্লেখসহ আরও ৮/৯ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন।
মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন আল আমীন, জেলা ছাত্রলীগ সদস্য জিএম জহির রায়হান, শহর ছাত্রলীগ নেতা সাইমুন ইসলাম বাপ্পী, মিরাজ হোসেন, অভি ও মিজানুর রহমান।
এরা সবাই ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
গত ১২ জানুয়ারি রাতে পটুয়াখালী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড ট্রেনিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাবুবুর রহমান মুসাকে নিউমার্কেট চত্বরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।