আ. লীগ নেতার মৃত্যু, বাড়িঘরে আগুন

নেত্রকোনায় অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর পর ক্ষুব্ধ সমর্থকরা প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে।

নেত্রকোনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Jan 2017, 09:13 AM
Updated : 2 Jan 2017, 09:18 AM

কেন্দুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, রায়জুরা গ্রামে সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

গত ২৮ ডিসেম্বর সকালে উপজেলার সাহিতপুর বাজারের অটোরিকশা স্ট্যান্ডের দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধলে আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল মিয়া (৪৫) আহত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

নিহত দুলাল ছিলেন কেন্দুয়া উপজেলার সান্ধিকোনা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেংজানা গ্রামের বাসিন্দা।

পরিদর্শক মিজানুর জানান, ২৮ ডিসেম্বর সকালে সান্ধিকোনা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভূইঁয়া লোকজন নিয়ে সাহিতপুর বাজারের অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল করতে গেলে ইসলাম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির লোকজনের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুলালসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।

“সোমবার সকালে দুলালের মৃত্যু খবর পেয়ে তার লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে আগুন দেয়।”

আবু তাহের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চেংজানা গ্রামের অন্তত ৫০০ লোক ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে সোমবার সকালে হামলা চালায়।

“তারা দুই ঘণ্টাব্যাপী হামলা, লুটপাট ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটায়। আগুনে ১৩টি বাড়ির ৫৫টি ঘর মালপত্রসহ পুড়িয়ে দেয়।”

পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানান আবু তাহের।

তিনি বলেন, আগুন দেওয়া হয়েছে তার নিজের বাড়ি, তার ভাই সিদ্দিক ‍মিয়া, ফজলুল হক, আবুল হাসেম, আজিজুল হক, হাদিছ মিয়া, ভগ্নিপতি আলতাবুর রহমান, প্রতিবেশী মোতালেব, সুরুজ আলী, সুলতান, সেলিম, খোকন মিয়া ও হাছেন আলীর বাড়িতে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে জানিয়ে পরিদর্শক মিজানুর বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর হামলার পর থানায় দুটি মামলা হয়। খুনিকে ধরার চেষ্টার পাশাপাশি পুরো পরিস্থিতি তদন্ত করা হচ্ছে।