এলাকাবাসী শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব স্কুলের ভর্তি কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসকের বাংলো ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে।
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও কোচিং সেন্টারটির মডেল টেস্টের প্রশ্নপত্র মিলিয়ে দেখা গেছে, নম্বরে সামান্য পার্থক্য থাকলেও প্রায় সব প্রশ্ন সম্পূর্ণ এক রকম।
প্রায় সব প্রশ্ন এক রকম হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “বইপত্র তো একই। মিল থাকতেই পারে।”
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাক আহমেদ বলেন, “বুধবার পরীক্ষা হয়েছে। সেদিন না বলে আজ কেন আন্দোলন?”
গত বুধবার পাবনা জেলা স্কুল, সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কৃষ্ণপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ওই কোচিং সেন্টারের মডেল টেস্টের প্রায় সব প্রশ্নের হুবহু মিল রয়েছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, এই মিলের কারণে ওই কোচিং সেন্টারের মডেল টেস্টে অংশগ্রহণকারীরা মেধাতালিকায় এগিয়ে রয়েছে। এ কারণে অন্য শিক্ষার্থীরা সরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না।
অভিভাবক মাহফুজ আলম বলেন, “এটা রীতিমতো শয়তানি। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
অভিভাবক মুরাদ পারভেজ বলেন, “আমার সন্তান বিভিন্ন মডেল টেস্টে মেধাতালিকায় স্থান পেলেও ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পায়নি। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। শিশুদের মেধা যাচাইয়ে এ ধরনের দুর্নীতির বিচার হওয়া উচিত।”
শহরের রাধানগর মহল্লার জীবন আকতার বলেন, “আমার সন্তানকে সরকারি স্কুলে পড়ানোর জন্য এক বছর ধরে অনেক কষ্ট করেছি। কিন্তু এই অনিয়মের কারণে আমার ছেলে চান্স পায়নি। এখন বুঝতে পারলাম কেন ছেলে ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেল না।”