বৃহস্পতিবার সকালে নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে এসে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে বলে সদর মডেল থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান।
তিনি বলেন, মিছিল নিয়ে নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। পরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করে তার অপসারণ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
এ সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদী জেলাখানার মোড় থেকে শহরের ব্রাহ্মন্দী মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
ওসি বলেন, “আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি, যাতে তারা কোনো গোলযোগ করতে না পারে।”
সেখানে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালিউর রহমান আজিম, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার সাহা, নরসিংদী পৌর সভার প্যানেল মেয়র রিপন সরকার, পৌর কাউন্সিলর ইয়াসমিন সুলতানা, নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী তৌহিদা সরকার রুনা বক্তব্য রাখেন ।
তারা সাত দিনের মধ্যে ডিসি আবু হেনা মোরশেদ জামানকে নরসিংদী থেকে অপসারণের দাবি জানান। তা না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাওসহ বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন ভুইয়া বলেন, “জেলা প্রশাসক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ডাকেন না। এছাড়া তিনি সরকারি জমি একটি স্কুলের নামে নামমাত্র দামে বিক্রি এবং রোকেয়া পদকের জন্য জেলার কোনো নারীর নাম প্রস্তাব না করে তার মায়ের নাম প্রস্তাব করেছেন, যিনি চট্টগ্রামের বাসিন্দা।
এর জের ধরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে জেলা প্রশাসনের কোনো কার্যক্রমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছে না। ১৬ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিতে ডিসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলের নরসিংদী পৌর মেয়র কামরুজ্জামান কামরুলসহ অনেকে।
এরপর জেলা প্রশাসকের অপসারণ দাবিতে সোমবার থেকে ধারাবাহিকভাবে তার কার্যালয় ঘেরাও চলছে।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা প্রশাসক বলেন, “স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার কোনো দূরত্ব নেই। কেউ আমার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করলে সেটা তাদের ব্যাপার। আমি ভুল করলে তদন্তেই তা প্রমাণিত হবে।
“আর রোকেয়া পদক জেলাভিত্তিক নয়। সারা দেশে দুজন নারীকে দেওয়া হবে। নরসিংদী থেকে নির্বাচক বোর্ড যার নাম প্রস্তাব করেছে তিনি আমার মা।”
জেলা প্রশাসকের মা হিসেবে নয়, কর্মগুণের কারনেই নির্বাচক বোর্ড তার নাম প্রস্তাব করেছে বলে দাবি করেন তিনি।