শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী উত্তর পানবর গ্রামে এ বন্যহাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে বন বিভাগের তওয়াকুচা বিট কর্মকর্তা আশরাফুল আলম ও ঝিনাইগাতী থানার ওসি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তর পানবর গ্রামের ক্ষেতে নেমে ধান খেয়ে এবং পা দিয়ে মারিয়ে ধান নষ্ট করতে থাকে একদল বন্যহাতি। এ সময় বন্যহাতি তাড়ানোর জন্য আগে থেকে পাতা জেনারেটরের বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক বন্যহাতি মারা যায়।
ওই বন্যহাতি মারা যাওয়ার পর থেকে উত্তর পানবর ও আশেপাশের এলাকায় বন্যহাতির দলের তাণ্ডব চলছে।
পশ্চিম বাঁকাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক সেলিম আহমেদ রাত সাড়ে ১০টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বন্যহাতির আতঙ্কে রাতেই স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও গরু বাছুর নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।”
বেশ কিছুদিন ধরে ঝিনাইগাতীর পাহাড়ি এলাকার মানুষ বন্যহাতির তাণ্ডবের কারণে ভোগান্তিতে রয়েছে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বন্যহাতির আক্রমণে ঝিনাইগাতী সীমান্তে একজন নারীসহ দুইজন মারা যায়।
বন্যহাতির কবল থেকে নিজেরা বাঁচার জন্য এবং ক্ষেতের ফসল রক্ষার জন্য নানা ধরনের কৌশল নিয়ে থাকে স্থানীয়রা।