গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার পরিদর্শন শেষে বুধবার সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “উনি আমাদের কাছে কিছুটা সময় চেয়েছেন, উনার মতামত জানানোর জন্য। আমরা আবার কালকে সকালবেলা উনাকে জিজ্ঞেস করব।
“আমরা দেখি কালকে সকালবেলা উনাকে জিজ্ঞাসা করলে উনার অবস্থা বুঝতে পারব। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।”
সকাল সাড়ে ৭টায় কাশিমপুর কারাগারে মীর কাসেমকে রায়ের কপি পড়ে শোনানোর পর প্রাণভিক্ষার আবেদন নিয়ে তার মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল বলে দুপুরে জানিয়েছিলেন কারা মহাপরিদর্শক।
“তিনি সিদ্ধান্ত দিতে কিছু সময় চেয়েছেন, চিন্তা-ভাবনা করার কথা বলেছেন,” সে সময় বলেছিলেন তিনি।
সন্ধ্যায় ইফতেখার উদ্দিন বলেন, সাধারণ নিয়মানুযায়ী আসামিদের মার্সি পিটিশনের জন্য সর্বোচ্চ সাত দিন সময় দেওয়া হয়ে থাকে।
“সাধারণ বন্দিদের ক্ষেত্রে বা অন্যান্য রায়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাত দিনের সময় পেয়ে থাকেন। আমরাও ধরে নিতে পারি সে হিসাবে ম্যাক্সিমাম সাত দিন সময় দেওয়া হতে পারে।”
মীর কাসেম প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে বা আবেদন করে প্রাণভিক্ষা না পেলে কোন কারাগারে তা ফাঁসি কার্যকর করা হবে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এখনও তা চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রতিটি কারাগারেই এমন সব কার্য সম্পন্ন করতে সব সময় প্রস্তুতি থাকে।”
এসময় কারা মহাপরিদর্শকের সঙ্গে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাই সিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সুপার সুব্রত কুমার বালা প্রমুখ ছিলেন।