ঢাকার বকশীবাজারের কারা অধিদপ্তরে বুধবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সকাল সাড়ে ৭টায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে মীর কাসেমকে রায়ের কপি পড়ে শোনানো হয়েছে। তিনি প্রাণভিক্ষা করবেন কি না জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বজনরাও কারাগারে গিয়ে তার সেঙ্গ দেখা করেছেন।
“তিনি সিদ্ধান্ত দিতে কিছু সময় চেয়েছেন, চিন্তা-ভাবনা করার কথা বলেছেন।”
সব বিচারিক প্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি হওয়ায় জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত মীর কাসেমের সামনে এখন কেবল ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগই বাকি।
কিন্তু কারাগারে গিয়ে কাসেমের সঙ্গে দেখা করার পর তার স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন সাংবাদিকদের বলেছেন, তাদের ছেলে মীর আহমেদ বিন কাসেমকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ‘বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে’। আহমেদ যেহেতু তার বাবার একজন আইনজীবী হিসেবেও ছিলেন, সেহেতু তাকে না পাওয়া পর্যন্ত প্রাণভিক্ষার আবেদন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত তারা দিতে পারছেন না।
সিদ্ধান্ত জানাতে কাসেম কত সময় পাবেন জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, “আমরা তাকে রিজনেবল সময় দেব।”
সাংবাদিকরা এই ‘রিজনেবল সময়ের’ ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাসেম কতদিন সময় পাবেন, ‘পরিস্থিতিই তা বলে দেবে’।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারাবিধি অনুযায়ী প্রাণভিক্ষার জন্য আসামিরা সাত দিন সময় পেলেও যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামিদের ক্ষেত্রে ওই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
এর আগে যুদ্ধাপরাধী মো. কামারুজ্জামান এবং পরে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ক্ষেত্রে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও বলেছিলেন, প্রাণভিক্ষার সুযোগ নেবেন কি না- তা জানাতে আসামি ‘যৌক্তিক সময়’ পাবেন। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেছিলেন, একটি ‘মার্সি পিটিশন’ লিখতে যে সময় লাগে এক্ষেত্রে সেটাই ‘যৌক্তিক সময়’ বলে তিনি মনে করেন।
আর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মঙ্গলবার কাসেমের রিভিউ খারিজের রায়ের পর সাংবাদিকদের বলেন, “(প্রাণভিক্ষার আবেদনের জন্য) সাত দিনের অপেক্ষা আমরা করে থাকি। আমাদের কাছে মনে হয় সাত দিন অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত সময়।”
মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড কোথায় কার্যকর করা হবে জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, তা এখনও ঠিক করা হয়নি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যরা বুধবার মীর কাসেমের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন নিয়মিত সাক্ষাতের অংশ হিসেবে। তার ফাঁসি কার্যকরের বিষয় এলে তার আগে আরেকবার তাদের দেখা করার সুযোগ দেওয়া হবে।