শরীয়তপুরে সর্তকতায় প্রশাসনের মাইকিং

শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মার ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2016, 01:17 PM
Updated : 26 August 2016, 01:17 PM

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কুন্ডেরচর ও খেজুরতলা এলাকায় মাইকিং করে তাদের হেলিপ্যাড ও স্কুলের মাঠে আশ্রয় নিতে বলা হয়।

বেশ কয়েকদিন থেকে কুন্ডেরচর ও খেজুরতলা এলাকায় পদ্মায় প্রবল ভাঙন চলছে। গত মঙ্গলবার রাতে ভাঙনের স্থান থেকে ঘরবাড়ি সরানোর সময় দুই জন পদ্মায় নিখোঁজ হন।এখনও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জরুরিভিত্তিতে নদীর পাড়ের বাড়ি-ঘর ও মানুষজনকে হেলিপ্যাড ও স্কুলের মাঠে আশ্রয়ে পাঠানোর জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

“তারা যাতে দ্রুত নদীর পাড় থেকে সরে যায় সেজন্য স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের সহয়তায় মাইকিং করে সরে যেতে বলা হচ্ছে।”

ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।  

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ভাঙনে আশ্রয়হীন মানুষ ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা, গরু-বাছুর, হাঁস-মুরগিসহ পরিবার পরিজন নিয়ে উঁচু জায়গা বা রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। 

নিখোঁজ ২ জনের সন্ধান মেলেনি

কুন্ডেরচর ইউনিয়নের কলমিরচর এলাকায় গত মঙ্গলবার নদী ভাঙনে নিখোঁজ হন রশিদ শিকদার ও মোসলেম ফকির।চারদিনেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

রশিদ শিকদারের ছেলে সুজন শিকদার বলেন, মঙ্গলবার রাতে বেশকিছু এলাকার ঘরবাড়ি যখন পদ্মা নদীতে ভেঙে যাচ্ছিল তখন ঘর-বাড়ি সরানোর সময় তার বাবাসহ আট জন পানির তোড়ে ভেসে যান।

“এরমধ্যে ছয় জনকে উদ্ধার করতে পারলেও আমার বাবাসহ দুইজনকে পাওয়া যায়নি”

এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল কাদের বলেন, “উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমাদের কোনো নৌযান বা অন্য কোনো উপায় নেই।”

তবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে নৌকা ট্রলার দিয়ে নিখোঁজদের সন্ধান চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।